করিনার সাজে মুগ্ধ ফ্যাশন দুনিয়া। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন বছর পঁচিশ আগে। কপূর পরিবারের তকমা গায়ে লাগিয়ে নয়, অভিনয় দক্ষতার জন্যই তিনি ভারতবাসীর মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন। ২০০০ সালে ‘রিফিউজি’ ছবি দিয়ে শুরু করেছিলেন কর্মজীবন, তার পর ‘ইয়াদে’, ‘আজনবি’, ‘চমেলি’, ‘ফিদা’, ‘জব উই মেট’— একের পর এক হিট ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন করিনা কপূর খান। অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর ফ্যাশন স্টেটমেন্ট নিয়েও ফ্যাশন দুনিয়ায় চর্চার শেষ নেই। কোনও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হোক কিংবা ছবির প্রচার— করিনার পোশাক পরার কায়দা ফ্যাশনিস্তাদের মুগ্ধ করে বার বার। সম্প্রতি অভিনেত্রীর শাড়ি পরার অভিনব কায়দা নজর কেড়েছে অনুরাগীদের।
করিনা তাঁর ইনস্টাগ্রামে একাধিক ছবি শেয়ার করেছেন, যেখানে দেখা গিয়েছে একটি কালো বেনারসি শাড়িতে মোহময়ী সাজে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন নায়িকা। অভিনেত্রী পরনে ছিল সোনালি জরির কারুকাজ করা কালো বেনারসি শাড়ি। তবে পোশাকশিল্পী অমিত আগরওয়ালের নকশা করা শাড়িটির সবচেয়ে বেশি নজরকাড়া দিক হল পরানোর পদ্ধতি। সাবেকি শাড়িকে এমন ভাবেও যে পরানো যায়, তা দেখে স্তম্ভিত ফ্যাশন দুনিয়া। বক্ষযুগলের কাছে ছোট ছোট করে হাতপাখার মতো শাড়ির প্লিট, করিনার সাজে এনেছে নতুনত্বের ছোঁয়া। এক ঝলকে দেখে বোঝার উপায় নেই অভিনেত্রী শাড়ি পরেছেন না কি গাউন। শাড়ির সারা গা জুড়ে সোনালি জরির নকশার মধ্যে ছিল আভিজাত্যের ছোঁয়া।
তবে কিছু পরে নিলেই তো আর হল না, করিনা শাড়িটিকে যে ভাবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ড্রেসের মতো করে পরে ফোটোশুট করিয়েছেন, তা দেখে তাঁর প্রশংসা না করলেই নয়। এই ফোটোশুটে করিনার স্টাইলিস্ট ছিলেন রিয়া কপূর, রূপটানশিল্পী ছিলেন মিকি কনট্র্যাক্টর। করিনার এই সাজ সম্পর্কে রিয়া বলেন, ‘‘পুরনো শাড়িকে কাটাকুটি না করেই কী ভাবে নতুন অবতারে সামনে নিয়ে আসা যায় তা আবারও দেখালেন অমিত। সঠিক পদ্ধতিতে রক্ষণাবেক্ষণ ও প্লিটিংয়ে বদল এনেই তিনি শাড়িটির ভোল সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছেন। করিনার এই আধুনিক ‘শাড়ি ড্রেপিং স্টাইল’ ফ্যাশনিস্তাদের পুরনো শাড়িকে নতুন মোড়কে পরার জন্য উৎসাহিত করবে, এ বিষয় কোনও সন্দেহ নেই।’’