ছবি: প্রতীকী
কাজে বেরোনোর আগে তাড়াহুড়োতে অন্য কিছু ব্যাগে নিতে ভুলে গেলেও ছাতা, জল নিতে ভোলেন না। সারা বছর এর অন্যথা হয় না। তবে ত্বক নিয়ে চর্চা করেন যাঁরা, তাঁরা বলছেন আরও একটি জিনিস ব্যাগে রাখতেই হবে। সেটি হল সানস্ক্রিন। অনেকেই মনে করেন, বাইরে বেরোনোর আগে এক বার সানস্ক্রিন মেখে বেরোলেই বোধ হয় ত্বক সুরক্ষিত থাকে। তা কিন্তু আদৌ নয়। সানস্ক্রিনের সুরক্ষা জোরদার করতে এই ক্রিম একাধিক বার মাখা যেতেই পারে। আবার বর্ষাকালে রোদ ওঠে না বলে অনেকেই সানস্ক্রিন মাখেন না। এই ভুলের জন্যও কিন্তু ত্বকের ক্ষতি বেড়ে যেতে পারে। ত্বকের ক্ষতি এড়াতে বাইরে বেরোনোর আগে যেমন সানস্ক্রিন মাখেন, তেমন ঘণ্টা দুয়েক বাদেও আবার এক বার তা মেখে নেওয়ার চেষ্টা করুন। বাইরে থাকলেও।
সানস্ক্রিনের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি
১) ইউভি রশ্মির দাপট সবচেয়ে বেশি সকাল ১০টা থেকে ৪টের মধ্যে। তাই এ সময়ের মধ্যে প্রয়োজন অনুযায়ী বার দুয়েক তো সানস্ক্রিন মাখাই যায়।
২) বারান্দা, ঘরের জানলা দিয়ে রোদ ঢোকে। ছাদে গেলেও তো রোদ লাগে। তাই বাড়িতে থাকলেও সানস্ক্রিন মাখতে হবে।
৩) সুইচ দিলে লাইট জ্বলে ওঠার মতো মাখলেই সানস্ক্রিন তার কাজ শুরু করে দেবে, এমনটা কিন্তু নয়। তাই কোথাও বেরোনোর অন্তত আধঘণ্টা আগে সানস্ক্রিন মাখতে হবে।
৪) বাইরে ঘুরলে বা শরীরচর্চা করলে ঘামে, সাঁতার কাটার সময়ে জল লেগে সানস্ক্রিন উঠে যায়। তাই ঘণ্টা দুয়েক পর পর এই ক্রিম আবার মেখে নিতে পারলে ভাল।
ছবি: প্রতীকী
৫) সানস্ক্রিন কেনার সময়ে ‘এসপিএফ’-এর মান দেখে তবেই কিনবেন। কত ক্ষণ রোদে থাকতে হয়, সেই বুঝে ‘এসপিএফ’ মান নির্বাচন করতে হয়। আর একটি জিনিস হল ত্বকের ধরন। সানস্ক্রিন কেনার সময়ে তা অবশ্যই মাথায় রাখবেন।
৬) আবহাওয়ায় আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশি থাকায় বর্ষাকালে ত্বক বেশ চটচট করে। তখন ‘জেল বেস্ড’ সানস্ক্রিন ব্যবহার করাই যায়।
৭) ‘ওয়াটারপ্রুফ’ বা ‘ওয়াটার রেজ়িট্যান্ট’ সানস্ক্রিনও কিন্তু জলে ধুয়ে যেতে পারে। তাই সে ক্ষেত্রেও পুনারায় এই ক্রিম ব্যবহার করার প্রয়োজন থাকে।