ছবি : সংগৃহীত।
চৈত্রের শেষ থেকে বৈশাখের শুরু— বাজারে অল্প সময়ের জন্য পাওয়া যায় ফুটি। মরসুমি এই ফল খেতে যেমন অনেকে ভালবাসেন, তেমনই এমনও অনেকে আছেন, যাঁরা এর স্বাদ ততটা পছন্দ করেন না। তার অবশ্য কারণও আছে। অন্যান্য ফল যেমন আম, জাম, কাঁঠাল, পেয়ারা— সবেরই স্বাদে রয়েছে মিষ্টত্ব। ফুটির স্বাদ খুব বেশি মিষ্টি নয়। তবে স্বাদ যেমনই হোক, গুণে ফুটি কোনও অংশে কম নয়। বিশেষ করে ত্বকের টানটান ভাব ধরে রাখতে অত্যন্ত উপকারী ফুটি।
কী কী গুণ আছে ফুটির?
আর্দ্রতা বজায় রাখা
ফুটিতে জলের পরিমাণ থাকে বেশি। তাই ওই ফল খেলে শরীর তার প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা পায়। আর্দ্র থাকে ত্বকও।
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস
ফুটিতে রয়েছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি। দু’টিই অত্যন্ত কার্যকরী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস, যা ফ্রি র্যাডিক্যালস থেকে শরীরকে মুক্ত রাখে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেসও হতে দেয় না। দু’টি বিষয়ই ত্বকের বয়স সময়ের আগে বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।
কোষের পুনরুজ্জীবন
ফুটিতে রয়েছে ফলিক অ্যাসিড। যা ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। অর্থাৎ ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে সুস্থ হয়ে উঠতে সাহায্য করে। ত্বকে তারুণ্যের ঔজ্জ্বল্য ফিরে আসে।
কোলাজেন তৈরি
কোলাজেন ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফুটিতে রয়েছে কোলাজেন তৈরি করার অনুকূল উপাদান। ফলে ত্বকে বলি রেখা বা বয়সের ছাপ পড়ার সমস্যা থাকে দূরে।
ত্বকে ঝলমলে ভাব
ফুটিতে থাকা ভিটামিন এ ত্বকের কোষ মেরামত করার প্রক্রিয়া সচল রাখে। ফলে ত্বকে আসে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ভাব। ত্বক হয় আরও মসৃণ।
রোদে পোড়া ভাব দূর করে
অতিবেগনি রশ্মি থেকে ত্বকে যে সমস্ত ক্ষতি হয়, তা থেকে ত্বককে বাঁচাতে পারে ফুটিতে থাকা অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস।