Hair changes with Ages

বয়সকালে শুধু চুলে পাক ধরে না, চুলের মানও খারাপ হয়, কেন জানেন?

চুল পড়ে যাওয়ার পর কখনও কোনও ফলিকল থেকে চুল গজানো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যার ফলে চুলের ঘনত্ব কমে যেতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২৩ ১৯:১৩
Share:

চুলের মান খারাপ হয়ে যাচ্ছে কেন? ছবি- সংগৃহীত

বয়স যে বাড়ছে তার প্রথম ইঙ্গিত দেয় চুল। ধীরে ধীরে একটা দুটো করে কালো চুল সাদা হতে শুরু করে। শুধু কি তাই? চুল তো সাদা হচ্ছেই সঙ্গে চুলের ঘনত্বও কমছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিবর্তন অনেকটাই নির্ভর করে চুলের ধরনের উপর। তাই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলের যত্ন নিতে না পারলে সমস্যা বেড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।বয়স যে বাড়ছে তার প্রথম ইঙ্গিত দেয় চুল। ধীরে ধীরে একটা দুটো করে কালো চুল সাদা হতে শুরু করে। শুধু কি তাই? চুল তো সাদা হচ্ছেই সঙ্গে চুলের ঘনত্বও কমছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিবর্তন অনেকটাই নির্ভর করে চুলের ধরনের উপর। তাই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলের যত্ন নিতে না পারলে সমস্যা বেড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।

Advertisement

বয়স কী ভাবে চুলের উপর প্রভাব ফেলে?

Advertisement

ঘনত্ব কমে যাওয়া

বয়স বাড়লে চুলের ঘনত্ব কমে। এ ছাড়াও চুলের গুণগত মান পাল্টে যাওয়ার পিছনেও বয়স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চিকিৎসকরা বলছেন, মানুষের মতো প্রতিটি চুলেরও নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে। চুল গজানো, বেড়ে ওঠা থেকে ঝরে পড়া— এই চক্রে তা আবর্তিত হয়। তবে চুল পড়ে যাওয়ার পর কখনও কোনও ফলিকল থেকে চুল গজানো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যার ফলে চুলের ঘনত্ব কমে যেতে পারে।

চুল পড়া

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে বিভিন্ন হরমোন বা যৌগের মাত্রায় হেরফের হওয়া স্বাভাবিক। যার প্রভাব পড়ে চুলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতি দিন ৫০ থেকে ১০০টা চুল পড়া স্বাভাবিক। পুরনো চুল পড়ে যাওয়া এবং নতুন চুল গজানোর এই চক্র গোটা জীবন ধরেই চলতে থাকে। তবে, বয়সকালে চুল পড়ার পরিমাণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নতুন চুল গজায় না। মানসিক চাপ বা উদ্বেগের কারণেও অনেক সময় চুল পড়ে।

চুলে পাক ধরা

বয়স বাড়লে মেলানিনের পরিমাণ কমতে থাকে। ফলে চুল সাদা হয়ে যায়। মেলানিন নামক একটি যৌগে মেলানোসাইট নামক একটি কোষ থাকে। যা চুল কালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

যদিও বয়স বাড়ার সঙ্গে চুলের যে পরিবর্তন আসে তার সবটা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় না। তবু কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে চুলের পাক ধরা, ঘনত্ব কমে যাওয়ার মতো সমস্যার গতি শ্লথ করা যেতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, প্রোটিনের মাত্রা ঠিক রাখা, সরাসরি চুলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি লাগতে না দেওয়া, ধূমপান না করা এবং মানসিক চাপ বা উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করা গেলে চুলের মান খানিকটা হলেও উন্নত করা সম্ভব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement