পুজোর আগেই ত্বকের কালচে দাগছোপ উঠে যাবে, ঠিক কী কী করলে? ছবি: ফ্রিপিক।
ভ্যাপসা গরম হোক বা বৃষ্টি— বাইরে বেরোতেই হবে। আর প্রতি দিন যাঁদের বাইরে বেরোতে হয়, তাঁদের ত্বকে ‘ট্যান’ পড়বেই। রোদে পোড়া দাগছোপ তুলতে সাঁলোতে গিয়ে গাঁটের কড়ি খসিয়ে ‘ডি-ট্যান’ করেন অনেকেই। অথবা দামি কোনও ফেসিয়াল। মুখ ও ত্বকের কালো দাগ ও ছোপ কমানোর জন্য বাজারচলতি প্রসাধনী যদি ব্যবহার করতে না চান, তা হলে ভরসা রাখতে পারেন ঘরোয়া টোটকায়। বেছে নিতে পারেন হেঁশেলের উপকরণ। হাতে বাড়তি সময় না থাকলেও অসুবিধা নেই। সারা দিনের কাজ থেকে ১০ মিনিট সময় বার করতে পারলেই হবে।
ত্বকের জৌলুস ফেরাতে ও কালো দাগছোপ তুলতে খুবই উপকারী আপেল সাইডার ভিনিগার। ত্বকে প্রাকৃতিক অ্যাস্ট্রিনজেন্ট হিসাবে কাজ করে। ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধে জমে থাকা তেল, ধুলো-ময়লা টেনে বার করতে সাহায্য করে। অ্যাপল সাইডার ভিনিগারে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান। এই সমস্ত উপাদান ত্বকে ব্রণ, র্যাশ কমাতেও সাহায্য করে।
‘ট্যান’ তুলতে আপেল সাইডার ভিনিগার কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
১) এক কাপ পরিষ্কার জলে এক চা চামচ আপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে মিশ্রণটি একটি স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। ত্বকের যে জায়গায় কালচে দাগ পড়ে গিয়েছে সেখানে নিয়ম করে ভিনিগার মেশানো জল স্প্রে করুন। কিছু দিনেই দাগ উঠে যাবে।
২) স্নানের সময়েও ব্যবহার করতে পারেন আপেল সাইডার ভিনিগার। এক বালতি জলে এক কাপ ভিনিগার মিশিয়ে নিন। জল উষ্ণ হতে হবে। এই জলে স্নান করে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ভিনিগার ত্বকে বসে গেলে তার পর পরিষ্কার জলে স্নান করে নিন। এই পদ্ধতিতে শরীরের রোমকূপগুলি থেকে ময়লা বেরিয়ে যাবে। অনেক বেশি তরতাজা লাগবে।
৩) এক চা চামচ আপেল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে এক চামচ অ্যালো ভেরা জেল মিশিয়ে নিন। এটি ফেস প্যাকের মতো ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের দাগ পড়া জায়গাগুলিতে এই প্যাক লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’বার করতে পারলেই দাগ উঠে যাবে।
৪) ত্বক যদি খুব নির্জীব হয়ে যায়, তা হলে এক চা-চামচ আপেল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে এক চা-চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে মুখে ভাল করে মালিশ করুন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার করলেই ত্বকের স্বাভাবিক জেল্লা ফিরে আসবে।
এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। আপেল সাইডার ভিনিগার কখনও জলে বা তেলে না মিশিয়ে মুখে লাগাবেন না। ব্যবহারের আগে ‘প্যাচ’ টেস্ট করে নেওয়া জরুরি। হাতে অল্প লাগিয়ে দেখে নিন অ্যালার্জি হচ্ছে কি না। যদি চুলকানি বা অস্বস্তি হয় ত্বকে, তা হলে ব্যবহার না করাই ভাল।