—ফাইল চিত্র।
শীতের পড়তির সময়টা সৈকতে কাটানোর জন্য আদর্শ। অল্প ঠান্ডায় সমুদ্রের জল পা ভিজিয়ে শরীরে রোদ মাখার যে সুখ, তার তুলনা কমই আছে। শীতে যাঁরা ঝট করে দু’-এক দিনের জন্য সৈকতে ছুটি কাটাতে যাবেন বলে ভাবছেন, তাঁদের যদি সৈকতের জন্য আলাদা পোশাক কেনার বা খোঁজার সময় না থাকে, তবে পছন্দের কুর্তি দিয়েও বানিয়ে নিতে পারেন অন্য রকম সাজ। পোশাকশিল্পীরা বলছেন, তাতে বরং অন্যদের থেকে আলাদা ভাবে চোখে পরবে আপনার সাজ। শুধু সামান্য কিছু অনুষঙ্গ দরকার। একই সঙ্গে তাঁরা বলছেন, কুর্তি বাছার ক্ষেত্রেও মনে রাখতে হবে কিছু বিষয়।
কুর্তি বাছাইয়ের নিয়ম
১। হাতকাটা বা হাতা দেওয়া— কুর্তি যেমনই হোক— কামিজ়ের মতো দু’পাশ চেরা থাকা জরুরি। অনেক সময় কুর্তির সামনের দিকেও তলার দিক থেকে খানিকটা চেরা থাকে। সে রকম কুর্তি হলে আরও ভাল।
২। ঘের দেওয়া কুর্তি না নেওয়াই ভাল। কারণ সে ক্ষেত্রে তার সঙ্গে নীচে যা-ই পরুন, কিছু তেমন বোঝা যাবে না।
৩। যে কুর্তিই পরুন, হাতা থাক বা না থাক, ফিটিং ভাল হতে হবে।
প্রথম সাজ
কুর্তির সঙ্গে শর্টস পরুন। গাঢ় রঙের কুর্তি হলে হালকা রঙের শর্টস। হালকা কুর্তি হলে গাঢ় রঙের শর্টস বেছে নিন। সাদা রঙের কুর্তি হলে অবশ্য যে কোনও রঙের শর্টসই ভাল লাগবে। যদি গয়না পরেন, তবে চেষ্টা করুন তাতে শর্টসের রঙের ছোঁয়া রাখতে। এর সঙ্গে পায়ে স্নিকার্স বা গ্ল্যাডিয়েটর পরলে ভাল লাগবে।
দ্বিতীয় সাজ
কুর্তির সঙ্গে পরুন কিউলোটস। অথবা কুর্তির ঝুলের সমান মাপের বা খুব বেশি হলে ইঞ্চিখানেক বড় ঢলঢলে খাটো প্যান্ট। কুর্তির রঙের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে পরলে ভাল লাগবে। এক রং অথবা বিপরীত রং বেছে নিন। তবে অবশ্যই রং মিলন্তিকে গুরুত্ব দিন। যে কোনও জুতো পরতে পারেন এর সঙ্গে। চোখে থাক সানগ্লাস। চাইলে গলায় লম্বা ঝুলের হার বা চেন পরতে পারেন।
তৃতীয় সাজ
লম্বা ঝুলের কুর্তির সঙ্গে পরে নিন লম্বা ঝুলের হালকা কোনও শ্রাগ। কুর্তির সমান ঝুলের হলে সবচেয়ে ভাল। কোমরে আলগা ভাবে বেঁধে নিতে পারেন সুতো কিংবা উলের কাজ করা সরু টাই আপ বেল্ট। এর সঙ্গেও যে কোনও জুতো চলতে পারে। পছন্দসই গয়না দিয়ে স্টাইল করতে পারেন।