গরমে নায়িকাদের প্রিয় সখা যখন কাফতান। ছবি: সংগৃহীত।
মরসুম বদলের পাশাপাশি ফ্যাশনেও বদল আসে। গরমের দিনে পোশাক হতে হবে আরামদায়ক, যা পরে সারা দিন ফুরফুরে থাকা যায়। গরমের ফ্যাশনে দাপট বাড়ছে কাফতানের। কোনও বিয়েবাড়ি হোক কিংবা অফিস, পুজো হোক কিংবা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাওয়া— এ বছর গরমের ফ্যাশনে ‘ইন’ কাফতান।
তুর্কি ‘কাপ টন’ থেকেই এই কাফতানের উৎপত্তি, যার মানে হল শরীর আবৃত রাখার বস্ত্র। কারিনা কপূর থেকে জাহ্নবী কপূর, হুমা কুরেশি থেকে সোনাম কপূর— সকলেই প্রেমে পড়েছেন কাফতানের। কাফতান পরার সুবিধেও অনেক।
১) রোজকার ব্যস্ত জীবনে অনেকেই শারীরচর্চার সময় পান না। ওজন বাড়লে অনেকেরই চিন্তায় ঘুম উড়ে যায়। শরীরের গঠন বা খাঁজ নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলারও দরকার নেই। কাফতানে শরীরী গঠন স্পষ্ট বোঝা যায় না। চেহারা ভারী হলেও কাফতান বেশ ভালই মানায়।
২) গরমের দিনে সুতির কাফতান বেশ আরামদায়ক। কাফতানের গঠন এমনই, এর মধ্যে বায়ু সঞ্চালন খুব ভাল হয়।
৩) অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ফ্যাশনেও কাফতানের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। সন্তান জন্মের পরবর্তী সময়ও এই পোশাক বাছতে পারেন স্বচ্ছন্দে। ওই সময়ে আঁটসাঁট পোশাক পরতে কারই বা ভাল লাগে। তখনও বাছতে পারেন কাফতান।
পুরনো শাড়ি আপনি কাফতান তৈরিতে কাজে লাগাতে পারেন। আপনার প্রিয় কাফতানের গলা ইংরাজি অক্ষর ভি, ইউ কিংবা গোলাকার যেমন পছন্দ তেমনই করতে পারেন। এ ছাড়াও কাফতানের ঠিক বুকের কাছে লাগাতে পারেন ছোট্ট লকেট। তা হলে দেখবেন একেবারে রূপ বদলে গিয়েছে প্রিয় পোশাকের। বাজারে এখন রকমারি কাফতান পাওয়া যাচ্ছে। লং জ্যাকেট, শর্ট ড্রেস, লং ড্রেস, টপ ইত্যাদি বিভিন্ন কাটের পোশাকেই এই কাফতান স্টাইলকে কাজে লাগাচ্ছেন ডিজ়াইনারেরা। ফলে স্থান অনুযায়ীও বাছতে পারেন বিভিন্ন রকমের কাফতান। কাফতান ব্লাউজ়ও এখন খুব ‘ট্রেন্ডিং’।
কাফতান পরলেই হল না, তার সঙ্গে সাজও হতে হবে মানানসই। গয়না নির্বাচন থেকে জুতো বাছাই, মেকআপ থেকে চুলের বাঁধন সব হতে হবে একেবারে পরিপাটি। কাফতান অনেকে রাতপোশাক হিসাবেও ব্যবহার করেন আবার অনায়াশেই কোনও পার্টির মধ্যমণি হয়ে যেতে পারেন এই পোশাক পরেই। সাজগোজ সঠিক হলেই হল।