নখের সংক্রমণ ঠেকানোর উপায়। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
শরীরে জলের অভাব দেখা দিলে নখের মান খারাপ হয়ে যায়। আবার, হাত-পায়ের পাতায় বেশি জল লাগলেও কিন্তু নখ খারাপ হয়ে যেতে পারে। গরমে ঘন ঘন স্নান করা, বাইরে থেকে এসেই হাত-পা ধোয়ার অভ্যাস ভাল। কিন্তু সমস্যা হল নখের কোণে জমা জল নিয়ে। নখের কোণে জল জমলে সেখান থেকে সংক্রমণ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। চলতি কথায় যাকে অনেকেই ‘নখকুনি’ বলে থাকেন। সেই নখকুনি আসলে এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়াঘটিত সংক্রমণ। নখের কোণে জল জমে থাকলে সেখানে ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধে। তার সঙ্গে রাস্তার ধুলো-ময়লা এসে জমলে নখকুনি সাংঘাতিক রূপ ধারণ করতে পারে।
কী করলে নখের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকবে?
১) স্নান করার পর হাত-পায়ের নখ শুকনো করে মুছে ফেলতে হবে। নখের কোণে যেন কোনও ভাবেই জল না বসে, সে দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি।
২) বার বার জলে হাত দিলে বা পায়ের পাতা ধুলে নখের ভিতরেও জল ঢুকে যায়। সেখান থেকে অনেকেরই নখকুনি হয়। এই সমস্যা এড়াতে চাইলে নখ ছোট করে কেটে রাখতে হবে।
৩) সব সময়ে নেলপলিশ পরলে নখের মান খারাপ হয়ে যেতে পারে। তবে নখে জল জমার প্রবণতা রুখতে ‘টপকোট’ বা স্বচ্ছ জেল পরতেই পারেন।
৪) ত্বকের মতোই এক্সফোলিয়েট করতে হবে নখ এবং সেই সংলগ্ন অংশে। তাতে কী সুবিধে হবে? নখের চারপাশে জমে থাকা মৃত কোষ, কিউটিকল দূর হবে। নখের তলায় রক্ত চলাচল ভাল হবে। ‘ইনগ্রোন নেল্স’-এর সমস্যা থাকলে তা-ও মিটবে।
৫) বার বার জল লাগলে হাতের চামড়া নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই রাতে ঘুমোনোর আগে ‘হ্যান্ডক্রিম’ মাখেন। খেয়াল করে ওই ক্রিমটি নখেও মাখতে হবে। তা হলে নখ সহজে রুক্ষ হয়ে যাবে না।