মেকআপ করার সময়ে মুখের আকারের কথাটাও মাথায় রাখতে হয়।
পার্টি, বিয়েবাড়ি কিংবা যে কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগেই নিঁখুত ভাবে মেকআপ করতে পছন্দ করেন? তবে মেকআপ করার সময়ে যে মুখের আকারের কথাটাও মাথায় রাখতে হয়, তা জানেন কি?
যাঁদের মুখের গড়ন গোল এবং গাল একটু ফোলা ধরনের, তাঁরা অনেকেই মেকআপ করে স্বচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। শত কায়দা করেও গালের ফোলা ভাব যেন সকলের নজরে আগে পড়ে। কিছু ফন্দি-ফিকির জানলেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
১) কনট্যুর: এ ক্ষেত্রে কনট্যুর করার সময়ে খেয়াল রাখবেন, আপনার ত্বকের রঙের তুলনায় দু’শেড গাঢ় রঙের কনট্যুর ব্যবহার করাই শ্রেয়। প্রথমে কপালের ধার বরাবর করট্যুর করুন। তার পর কানের উপর ভাগ থেকে শুরু করে চোয়ালের মাঝ পর্যন্ত এবং ঠিক চোয়ালের হাড় বরাবর ব্রোনজার লাগান। এর পর থুতনির নীচ থেকে কানের পিছন দিক পর্যন্ত লম্বা করে ব্রোঞ্জার ব্যবহার করুন। নাকের দু’পাশে ব্রোঞ্জার লাগাতে ভুলবেন না যেন। গালের উপর কখনওই কনট্যুরিং করবেন না।
২) ব্লাশের ব্যবহার: বেশির ভাগ মানুষ হাসির ভঙ্গিতে ব্লাশ লাগান। মানে হাসির সময়ে গালের যে অংশগুলি উঁচু হয়ে যায়, সেখানে গোল করে ব্লাশ ব্যবহার করেন। মুখের গড়ন গোল হলে এই ভুল করবেন না। গালের উপরে হাড় বরাবর একটু কোনাকুনি ভাবে ব্লাশ লাগান। তা হলে মুখের গোল ভাব কমবে।
প্রতীকী ছবি
৩) চোখের সাজ: চোখের সাজ খুব ভাল হলে সকলের নজর সে দিকেই যায়। এ ক্ষেত্রে মোটা করে আইলাইনার পরুন। দিনের বেলায় মেকআপ করলে হালকা রঙের আইশ্যাডো দিয়ে সামান্য গ্লিটারও ব্যবহার করতে পারেন। রাতে কোনও অনুষ্ঠান থাকলে ‘স্মোকি আই লুক’ করতে পারেন।
৪) গাঢ় রঙের লিপস্টিক ও হাইলাইটার ব্যবহার করুন: আপনার ব্লাশের সঙ্গে মামানসই গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। মেকআপের সময়ে হাইলাইটার ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
৫) চুলের সাজ: গালের গড়ন গোল হলে চুল খোলা রাখা যায়। এ ক্ষেত্রে চুলে ‘লেয়ার কাট’ করতে পারেন। এ রকম চুলে মুখের গড়ন লম্বাটে দেখায়।