ট্যাটু তুলতে কি বেশি যন্ত্রণা হয়? ছবি: শাটারস্টক।
গত বার পুজোর ঠিক আগে আগেই প্রেমের টানে প্রেমিকের নামে ট্যাটু করিয়েছিলেন, অথচ বছর গড়াতেই না গড়াতেই সেই প্রেমিক অন্য কারও প্রেমে পাগল! অগত্যা সেই ট্যাটু মুছে ফেলা ছাড়া উপায় নেই, নইলে সেই ট্যাটুকে ভরাট করতে আরও কারসাজির আশ্রয় নিতে হবে। অনেকে আবার পুজোর আগে নতুন ট্যাটু করানোর কথা ভাবছেন। তবে ট্যাটু করানোর মতো ট্যাটু তোলাও কিন্তু একই রকম যন্ত্রণাদায়ক। ইদানীং উন্নত ধরনের লেজার প্রযুক্তির সাহায্যে ট্যাটু তুলে ফেলা সম্ভব। তবে ট্যাটু তোলার আগে কয়েকটি কথা কিন্তু ভুললে চলবে না।
১) ট্যাটু করানোর সময় যতটা ব্যথা হয়, তোলার সময় কিন্তু আরও বেশি ব্যথা হয়। তাই ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন। বিশেষত কোমল জায়গায় করা ট্যাটু থাকলে বেশি সতর্ক হোন। সেই জায়গায় অ্যানাসথেশিয়া করিয়ে ট্যাটু তোলাই শ্রেয়।
২) এক দিন গিয়েই গোটা ট্যাটু তুলে বাড়ি চলে আসবেন— ব্যাপারটা ততটাও সহজ নয়। একটি ট্যাটু তুলতে প্রায় ৮ থেকে দশটি সিটিং লাগে। ট্যাটুর আকার, তাতে আদৌ রঙের ব্যবহার আছে কি না— এই সবের উপর নির্ভর করে, তা তুলতে কতটা সময় লাগবে।
৩) লেজার প্রক্রিয়ার পর যে ট্যাটু একেবারে মুছে যাবে তেমনটা নয়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই একটু দাগ থেকেই যায়।
৪) ট্যাটু তোলার পর চাই সঠিক পরিচর্যা। নইলে অ্যালার্জি, র্যাশ, জ্বালা, লালচে ভাব, চুলকুনি শুরু হয়। তাই যেখান থেকে ট্যাটু তুলছেন সেখান থেকেই জেনে নিন ঠিক কী কী পরিচর্যা করতে হবে।
৫) ট্যাটু করতে যেমন খরচ, ট্যাটু তুলতে তার থেকেও বেশি খরচ হয়। তাই খরচের বিষয়টি ভেবেচিন্তে তবেই সিদ্ধান্ত নিন।