এমন কোন কোন উপাদান ত্বকের ক্ষতি করে, তা জানা আছে কি? প্রতীকী ছবি।
রোদে পোড়া ত্বক থেকে কালো ছোপ, দাগ তুলতে বা ব্রণর সমস্যা থেকে চটজলদি মুক্তি পেতে অনেকেই ঘরোয়া টোটকার উপর ভরসা করেন। দীর্ঘ দিন ধরে ঠাকুরমা-দিদিমারাও এমন অনেক উপকরণই ব্যবহার করে এসেছেন বলে চোখ বন্ধ করে সেই সব প্রাকৃতিক উপাদানের উপর ভরসা করতে বলেন। আপাত ভাবে সেগুলি ত্বকের ক্ষতি না করলেও দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবহার করতে থাকলে কিন্তু তার খারাপ প্রভাব পড়ে বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু এমন কোন কোন উপাদান ত্বকের ক্ষতি করে, তা জানা আছে কি?
কোন কোন উপাদানে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে?
১) লেবুর রস
ত্বকের দাগ-ছোপ দূর করতে ভিটামিন সি-র কোনও বিকল্প নেই। তাই রাসায়নিক দেওয়া ক্রিম ব্যবহার না করে অনেকেই ঘরোয়া টোটকা হিসাবে বিভিন্ন প্যাকে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে মুখে, ঘাড়ে মেখে থাকেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, লেবুর রসে থাকা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড ত্বকে কখনও কখনও উল্টো প্রতিক্রিয়াও করতে পারে। যাদের ত্বক শুষ্ক, তারা মুখে লেবুর রস মাখলে তা আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়াও লেবু মেখে রোদে বেরোলে ত্বকে নানা রকম সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
২) নারকেল তেল এবং অলিভ অয়েল
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে প্রতিদিন গায়ে তেল মাখার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। কারও কারও ক্ষেত্রে তা কাজ করলেও তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই তেল কিন্তু ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে। কারণ, তৈলাক্ত ত্বকে এমনিতেই সেবাম ক্ষরণের মাত্রা বেশি। তার উপর যদি তেল মাখেন, ব্রণ সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
যাদের ত্বক শুষ্ক, তারা মুখে লেবুর রস মাখলে তা আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। প্রতীকী ছবি।
৩) বেকিং সোডা
ত্বককে মসৃণ রাখার জন্য চামড়ার তলায় প্রাকৃতিক ভাবেই তেলের স্তর থাকে। বেকিং সোডার মতো ক্ষারীয় পদার্থ যদি ত্বকের সংস্পর্শে আসে, সে ক্ষেত্রে ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। ত্বকের প্রাকৃতিক তেল এবং আর্দ্রতা ত্বক থেকে শুষে নিয়ে তাকে আরও শুষ্ক করে তুলতে পারে।
৪) ভিনিগার
ত্বক এবং চুলের যত্নে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি যৌগে ভরপুর অ্যাপল সাইডার ভিনিগার অনেকেরই পছন্দের। কিন্তু তা ব্যবহার করার একটি মাত্রা রয়েছে। নিজের অজান্তেই বেশি পরিমাণে ব্যবহার করে ফেললেও কিন্তু ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
৫) মাজন
রাতারাতি ত্বকের ব্রণ বা র্যাশের সমস্যা কমাতে অনেকেই ওই নির্দিষ্ট জায়গায় ফোঁটার আকারে মাজন ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু মাজনে থাকা ‘ট্রিকলোসন’ নামক রাসায়নিকটি ব্রণর আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।