Laser Hair Removal

লেজ়ার হেয়ার রিমুভাল পদ্ধতিতে মুখের রোম তুলবেন, তার আগে কী কী জেনে রাখা প্রয়োজন?

মুখের রোম মূলত ভেলাস এবং টার্মিনাল, এই দু’ধরনের হয়। ভেলাস গোত্রের রোম খালি চোখে প্রায় দেখা যায় না। কিন্তু, টার্মিনাল গোত্রের রোম একেবারেই ভেলাসের বিপরীত।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৫ ১৯:৪৯
Share:
Laser Hair Removal

লেজ়ারের সাহায্যে রোম তুললে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে? ছবি: সংগৃহীত।

ওয়াক্সিং, থ্রেডিং, সুগারিং, শেভিং— মুখের অবাঞ্ছিত রোম তোলার হরেক উপায় রয়েছে। প্রায় সবগুলিই যন্ত্রণাদায়ক। তার চেয়েও বড় সমস্যা হল, এগুলি কোনওটিই ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ নয়। অর্থাৎ, কিছু দিনের মধ্যেই মুখের রোম আবার সেই তিমিরে। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আজকাল অনেকেই ‘লেজ়ার হেয়ার রিমুভাল’-এর দিকে ঝুঁকছেন। এই পদ্ধতি প্রায় যন্ত্রণাহীন। আর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল লেজ়ার পদ্ধতিতে রোম তুললে সহজে তা ফিরে আসে না, মাস ছয়েক পর্যন্ত নিশ্চিন্তে থাকা যায়। প্রায় ‘পার্মামেন্ট’ই বলা চলে।

Advertisement

মুখের রোম মূলত ভেলাস এবং টার্মিনাল, এই দু’ধরনের হয়। ভেলাস গোত্রের রোম খালি চোখে প্রায় দেখা যায় না। এই ধরনের রোম খুব ঘনও হয় না। মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকালে গালে, ঠোঁটের উপরে ভেলাস গোত্রের রোম দেখা যায়। হাতে-পায়ে কিংবা সারা দেহেও এই ধরনের রোম থাকতে পারে। কিন্তু, টার্মিনাল গোত্রের রোম একেবারেই ভেলাসের বিপরীত। মুখের রোম খুব ঘন, কালো, আকারে বেশ লম্বা হলে তাকে টার্মিনাল গোত্রের মধ্যে ফেলা যেতে পারে। বাহুমূল, গোপনাঙ্গ এবং মাথায় সাধারণত এই টার্মিনাল গোত্রের রোমই দেখা যায়। কিন্তু যাঁদের ‘হিসরুটিজ়ম’ বা হরমোনের হেরেফেরে অবাঞ্ছিত রোম গজানোর সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ভেলাসই রূপান্তরিত হয় টার্মিনালে। তখন মুখের রোমের ঘনত্ব বাড়তে থাকে। তা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

লেজ়ার হেয়ার রিমুভাল পদ্ধতিতে বিশেষ এক ধরনের আলোকরশ্মি দিয়ে রোমের ফলিকলগুলি সাময়িক ভাবে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়। ওই জায়গায় আবার রোম গজাতে অন্ততপক্ষে মাস ছয়েক সময় লাগে। তবে লেজ়ারের সাহায্যে মুখের রোম তোলার আগে এই পদ্ধতি সম্পর্কে কয়েকটি বিষয় জেনে নেওয়া প্রয়োজন।

Advertisement

১) এখন লেজ়ার হেয়ার রিমুভাল বেশ সস্তা হয়ে গিয়েছে। ছোট-বড় বিভিন্ন সাঁলোয় এই পদ্ধতিতে রোম তোলা হয়। তবে লেজ়ার করাতে গিয়ে ত্বকের যেন কোনও ক্ষতি না হয় সে দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। তাই কোথা থেকে লেজ়ার করাচ্ছেন এবং কসমেটোলজিস্টের অভিজ্ঞতা কেমন, সে বিষয়ে আগে থেকে ভাল করে খোঁজখবর নিয়ে তবেই এগোবেন।

২) লেজ়ারের সাহায্যে মুখের রোম তোলার আগে বা পরে কোনও ভাবেই রোদের সংস্পর্শে আসা যাবে না। তাতে চিকিৎসাপদ্ধতি আরও জটিল হয়ে পড়তে পারে। ত্বকের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

৩) অ্যাসপিরিন, আইব্রুফেন কিংবা ভিটামিন-ই জাতীয় ওষুধ নিয়মিত খেলে লেজ়ার পদ্ধতিতে রোম তোলা যাবে না। অন্ততপক্ষে এক সপ্তাহ আগে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। না হলে চিকিৎসা পরবর্তী সমস্যা গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।

৪) লেজ়ার চিকিৎসা করানোর আগে কোনও ভাবে থ্রেডিং বা ওয়াক্সিং করা যাবে না। কিন্তু মুখে বা দেহের যে অংশে লেজ়ার করাবেন সেখানে রেজ়ারের সাহায্যে শেভিং করতে পারেন। তাতে লেজ়ার চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় সুবিধাই হবে।

৫) লেজ়ার প্রক্রিয়া শুরুর আগে দেখে নিতে হবে, যেন ত্বকে আর্দ্রতার অভাব না হয়। যে অংশে লেজ়ার পদ্ধতিতে রোম তোলা হবে, সেখানে কোনও রকম প্রসাধনী ব্যবহার না করাই ভাল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement