মুখের যত্নে তেলের ভূমিকা। ছবি: সংগৃহীত।
একটা সময়ে ভয়ে মুখে তেল মাখতেন না। তেল মাখলেই গোটা মুখ ব্রণয় ভরে যেত। কিন্তু বয়স বাড়তেই সেই তেলে টান পড়তে শুরু করে। শীতে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। আবহাওয়ায় আর্দ্রতার অভাব হলেই ত্বকে টান ধরতে শুরু করে। শুষ্ক ত্বকের যত্ন নিতে গোটা শীতে গায়ে সর্ষের তেল মাখেন। ত্বকের জন্য এই অভ্যাস নিঃসন্দেহে ভাল। মুখের চামড়ায় টান ধরলেও কি সর্ষের তেল মাখা যায়? ত্বকের চিকিৎসকেরা বলেন, সর্ষের তেলের ঘনত্ব বেশি। তাই মুখের জন্য তা ভাল না-ও হতে পারে। তবে আর্দ্রতা ধরে রাখতে, শুষ্কতার হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করতে পাঁচ রকম তেল মাখা যেতেই পারে।
১) হোহোবা অয়েল
দাম একটু বেশি হলেও এই তেলের কাজ অনেক। হোহোবা অয়েলের ঘনত্ব খুব বেশি নয়। তাই তৈলাক্ত ত্বকে মাখলেও খুব একটা অসুবিধা হয় না। স্পর্শকাতর ত্বকের জন্যেও এই তেল ভাল। হোহোবা অয়েল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং সেবামের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
২) আর্গন অয়েল
ত্বকের প্রয়োজনীয় বেশ কয়েকটি ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন ই রয়েছে আর্গন অয়েলে। নিয়মিত এই তেল মাখলে ত্বকের তারুণ্য বজায় থাকে। বলিরেখা, ত্বকের কালচে ছোপ এবং খসখসে ভাব দূর করতে সাহায্য করে এই তেল।
৩) কাঠবাদাম তেল
ভিটামিন এ, ই এবং ডি-এর প্রাকৃতিক উৎস হল কাঠবাদামের তেল। এই উপাদানগুলি ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কাঠবাদামের তেল খুবই হালকা এবং সহজেই ত্বকের সঙ্গে মিশে যায়। ত্বককে নরম এবং মসৃণ করে তোলে।
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে দারুণ কার্যকর এই নারকেল তেল। ছবি: সংগৃহীত।
৪) নারকেল তেল
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে দারুণ কার্যকর এই নারকেল তেল। ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর এই তেলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। যা ত্বকের যে কোনও ধরনের সংক্রমণ রুখে দিতে পারে। তা ছাড়া স্পর্শকাতর ত্বকের যত্নেও এই তেল বেশ ভাল।
৫) অলিভ অয়েল
স্যালাডের ড্রেসিং-এ, চুলের যত্নে অলিভ অয়েল ব্যবহার করেন অনেকেই। ভিটামিন ই-এর গুণে ভরপুর এই তেল ত্বকের ক্ষত নিরাময়েও সহায়তা করে। তা ছাড়াও ত্বকের প্রদাহ নাশ করার ক্ষমতাও রয়েছে অলিভ অয়েলের।