ঘামের গন্ধ দূর করতে সুগন্ধি ব্যবহার করা হল সহজতম উপায়। প্রতীকী ছবি।
হাওয়া অফিস বলছে পুজোতেও রেহাই মিলবে না ভ্যাপসা আবহাওয়া থেকে। তাই বলে তো ঠাকুর দেখা বন্ধ থাকবে না। এই আর্দ্র গরমে ভিড় ঠেলে ঠাকুর দেখতে গেলে গলদঘর্ম দশা হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। সত্যি বলতে এই পরিস্থিতিতে ঘাম আটকানোর কোনও উপায় নেই। আর ঘাম মানেই শরীরে দুর্গন্ধ হওয়ার সমূহ সম্ভবনা। ঘামের গন্ধ দূর করতে সুগন্ধি ব্যবহার করা হল সহজতম উপায়। কিন্তু তাতে যদি কাজ না হয়, তবে মেনে চলতে পারেন ঘরোয়া কিছু টোটকা।
১। গন্ধ তাড়াতে ব্রহ্মাস্ত্র হতে পারে পাতিলেবুর রস। একটি লেবুকে দু’ভাগ করে এক-একটি অংশ নিয়ে বাহুমূলের নীচে ঘষে ফেলুন। মিনিট পাঁচেক রেখে স্নান করে নিন। পুজোর দিনগুলিতে রোজই এই টোটকা প্রয়োগ করতে পারেন। পাতিলেবুর রস এবং খানিকটা বেকিং সোডা মিশিয়ে স্নান করলেও উপকার পাবেন।
২। ঘামের ব্যাক্টেরিয়া থেকে হওয়া দুর্গন্ধ দূর করতে কাজে আসতে পারে ‘অ্যাপল সাইডার ভিনিগার’। একটি তুলোর বল ভিনিগারে ভিজিয়ে, যেখানে ঘাম বেশি হয়, সেখানে দু’-তিন মিনিট রেখে দিন। ফের এক বার ভিনিগারে তুলো ভিজিয়ে মুছে নিন ঘামের জায়গা। দিনে দু’বার এই টোটকা কাজে লাগাতে পারেন। ঈষদুষ্ণ গরম জলে অল্প ‘অ্যাপল সাইডার ভিনিগার’ মিশিয়ে স্নানও করতে পারেন।
বাহুমূল নিয়মিত শেভ বা ওয়্যাক্স করলে ওই অংশে ব্যাক্টেরিয়া জমা হওয়ার সমস্যা কিছুটা কমে। ছবি: সংগৃহীত
৩। টম্যাটোর ব্যাক্টেরিয়ানাশক গুণ রয়েছে। একই গুণ রয়েছে বিটেরও। স্নানের আগে টম্যাটো দিয়ে বাহুমূল ‘স্ক্রাব’ করলেও ভাল ফল মিলবে। বিটের ক্ষেত্রে রসে তুলো ভিজিয়ে ঘামের জায়গাতে ঘষুন। শুকিয়ে এলে ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন।
৪। এখন অনেকেই দৈনন্দিন জীবনে নানা কাজে এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করেন। স্নানের জলে কয়েক ফোঁটা পছন্দসই এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। কমবে দুর্গন্ধের সমস্যা।
৫। শরীরের অন্যত্র সম্ভব না হলেও বাহুমূল নিয়মিত শেভ বা ওয়্যাক্স করলে ওই অংশে ব্যাক্টেরিয়া জমা হওয়ার সমস্যা কিছুটা কমে। ফলে দুর্গন্ধও হ্রাস পায়।