Durga Puja Fashion

লিনেন না সিল্ক, ব্লক প্রিন্ট না কাঁথা? এ বার পুজোয় বাজার মাতাচ্ছে কোন ধরনের শাড়ি

পুজো মানেই ‘সাজো-সাজো’ রব। বেশির ভাগ মেয়ে এই সময় শাড়ি পরতে পছন্দ করেন। এ বারের পুজোয় কোন ধরনের শাড়ি কিনবেন? সিল্ক না সুতি, কোনটা বেশি মানানসই? রইল যাবতীয় খুঁটিনাটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১:১৩
Share:

অন্য রকম শাড়ি পেতে চাইলে পৌঁছে যেতে পারেন ‘উম্যায়রা’তে। ছবি- সংগৃহীত

শাড়ি পরতে সত্যিই কি পছন্দ করে নতুন প্রজন্ম? না কি শাড়ি পরা শুধু ইনস্টাগ্রামের ফোটোশ্যুটের জন্য? সেই তর্ক তো চলতেই থাকবে। তবে উৎসবের দিনগুলোয় বাঙালি একটু বেশি শাড়ি পরে তো বটেই। পুজোর পাঁচ দিন রংবেরঙের শাড়ি পরা তন্বীদের ভিড় উপচে পড়ে শহরের রাস্তায়। প্রথম প্রেম, পুজোর ক্রাশ, মণ্ডপের মধ্যমণি হওয়া— নিজেকে অন্য ভাবে সাজিয়ে তোলার অনেক কারণ থাকে পুজোর সময়। মেয়েদের কাছে এগুলো অবশ্য অজুহাত মাত্র। তাঁরা সবচেয়ে বেশি সাজেন নিজের জন্য। এবং পুজোর আগে চলে জমিয়ে শপিং।

Advertisement

যাঁরা সারা বছর শাড়ি পরেন বা কেনেন, তাঁদের অবশ্য বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। পুজো আসার মাস দুয়েক আগে থেকেই তাঁদের মাথায় থাকে কোন ধরনের শাড়ি কিনবেন, কী ধরনে ব্লাউজ বানাবেন, কোন গয়না পরবেন, কেমন জুতো কিনবেন। কিন্তু যাঁরা সারা বছর পশ্চিমী পোশাকেই বেশি পরেন, তাঁরা পুজোর আগে খানিক বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন, কী ধরনের শাড়ি কিনবেন ভেবে। তাঁদের জন্য রইল কিছু টিপ্‌স।

১। সিল্কের আবেদন চিরন্তন। কিন্তু সিল্ক বললেই তো হল না। তারও রয়েছে অনেক রকমফের। কোনওটা চান্দেরী সিল্ক, কোনওটা পাট সিল্ক, কোনওটা র সিল্ক, কোনওটা দক্ষিণী সিল্ক। কলকাতার যে কোনও বড় বিপণিতে আপনি নানা রকম সিল্কের শাড়ি পেয়ে যাবেন। তবে একটু অন্য রকম শাড়ি পেতে চাইলে ঢুঁ মারতে হবে শহরের বিভিন্ন বুটিকে। পৌঁছে যেতে পারেন ‘উম্যায়রা’তে। তাঁদের বিশেষ পুজোর সম্ভারে রয়েছে হরকে রকম সিল্কের শাড়ি।

Advertisement

‘সেরেনিটি বাই সৈকত’ নামের ফেসবুক পেজ হতে পারে আপনার কেনাকাটার গন্তব্য। ছবি- সংগৃহীত

২। সিল্ক পরার ঝক্কি যাঁরা নিতে চান না, তাঁদের জন্য হাতে বোনা নরম সুতি বা লিনেন শাড়িই সবচেয়ে ভাল। তবে সুতি শুনে ভাববেন না ফ্যাকাশে রঙের শাড়ি। লিনেনে বৈচিত্র দেখলে অবাক হয়ে যাবেন। শহরের এক পোশাকশিল্পী রাহুল দত্ত প্রতি বারের মতোই এ বারও তাঁর উৎসবের সম্ভার নিয়ে পসরা সাজিয়েছেন। নানা রঙের জামদানি, এবং জামদানি কাজ করা লিনেন শাড়ি পেয়ে যাবেন তাঁর ইনস্টাগ্রাম পেজেই। যে মেয়েরা শাড়ি পরে জড়োসড়ো হয়ে বসে না থেকে ফুরফুরে মেজাজে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য এই ধরনের শাড়িগুলো আদর্শ।

পোশাকশিল্পী রাহুল দত্ত প্রতি বারের মতোই এ বারও তাঁর উৎসবের সম্ভার নিয়ে পসরা সাজিয়েছেন। ছবি- সংগৃহীত

৩। পুজো মানেই কেনাকাটায় একটু জমকালো শাড়ি তো রাখতেই হবে। উজ্জ্বল রঙের সিল্কের শাড়িতে যদি একটু অভিনব ব্লক প্রিন্ট বা কাঁথার কাজ পাওয়া যায়, তা হলে তো মন্দ হয় না, তাই না? পোশাকশিল্পী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্ভারে পেয়ে যাবেন সব রকম শাড়িই। ‘সেরেনিটি বাই সৈকত’ নামের ফেসবুক পেজ হতে পারে আপনার কেনাকাটার গন্তব্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement