ভুল ধারণার জন্য তেল মাসাজ করেও কাঙ্খিত ফল অধরা থাকতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
বর্ষা হোক বা যে কোনও ঋতু, চুল ভাল রাখতে তেল মাসাজ জরুরি বলে মনে করেন অনেকেই। অনেক তারকাও ভরসা রাখেন ঠাকুমা-দিদিমার টোটকায়। তেল মাসাজের ফলে মাথার তালুতে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। চুলের গোড়া শক্ত হয়। তেলের সঙ্গে কিছু উপাদান যেমন আমলকি, মেথি, কারিপাতা ফুটিয়ে মাখলে চুলের জেল্লা বাড়ে, চুল ঝরা কমে।
কিন্তু জানেন কি তেল মাসাজের সঠিক নিয়ম! অনেক সময় ভুল ধারণার জেরেই কিন্তু সমস্যা হয়ে যায়। এতে চুলের ক্ষতি হতে পারে। জেনে নিন তেল মাসাজের সময় কোন ভুল করতে পারেন, কী ভাবে তা শুধরে নেবেন।
প্রচণ্ড গরম তেল
চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত শুধু নয়। মাথার তালুতেও তেল মাসাজ জরুরি। হালকা গরম তেল ব্যবহার করলে কাজ ভাল হয়। তবে অনেকেই ঈষদুষ্ণের অর্থ না বুঝে, যতটা সম্ভব গরম তেল তালুতে ও চুলে লাগাতে শুরু করেন। অতিরিক্ত গরম তেল চুলের জন্য একেবারেই ভাল নয়।
অতিরিক্ত তেল
অনেকেরই ধারণা থাকে চপচপে করে তেল মাখলে চুল বুঝি ভাল হবে। চুল পড়া কমে যাবে। এমনটা কখনও নয়। চুলের যতটা প্রয়োজন, ততটাই তেল শোষণ করবে। বাকিটা নষ্ট হবে। বরং অতিরিক্ত তেল থাকলে শ্যাম্পু করার সময় ঘষাঘষিতে চুল নষ্ট হবে। আবার তেল মাথার তালুতে জমে থাকলে, ধুলো-ময়লা বেশি আটকাবে। খুশকিও হতে পারে এতে।
ভিজে চুলে মাসাজ নয়
চুল ভিজে থাকার অর্থ সেই সময় গোড়াটা কিছুটা নরম থাকা। এ কারণেই ভিজে চুল আঁচড়াতেই বারণ করা হয়। অনেকেই ভিজে চুলে তেল মাসাজ করেন। এটা মোটেই সঠিক পদ্ধতি নয়। শুকনো চুলেই তেল দিয়ে হালকা হাতে মাসাজ করা উচিত। যদি চুল ঝরার সমস্যা হয়, তা হলে তেল লাগিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই হালকা মাসাজ করতে হবে। তবে ২ মিনিটের বেশি নয়।
টেনে চুল বাঁধা
রাতে চুলে তেল দিয়ে টেনে চুল বাঁধার কথা বলা হত আগেকার দিনে। এখনও অনেকেই চুল সে ভাবে বাঁধেন। কিন্তু এতে চুলে টান বেশি পড়ে। অনেক সময় টেনে চুল বাঁধার ফলে কপাল চওড়া হতে শুরু করে। চুলের ডগা ফাটা এড়াতে, তেল মাসাজের পর ক্লিপ দিয়ে চুল আটকে রাখতে পারেন। চুল ছিঁড়ে যায়, এমন শক্ত করে কোনও রাবার ব্যান্ড বাঁধবেন না।