— প্রতীকী চিত্র।
সাধ্যের মধ্যে যত রকম প্রসাধনী রয়েছে, প্রায় সবই এক বার করে মেখে ফেলেছেন। সুন্দর, নিটোল, ব্রণহীন, দাগ-ছোপহীন ত্বক পাওয়ার ইচ্ছে থাকে সকলেরই। কিন্তু ইচ্ছে থাকলেই তো আর তা পূরণ হয় না। নামীদামি প্রসাধনী মেখেও সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ত্বকের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করলেই যে ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে এমনটা নয়। সেই প্রসাধনীগুলি ত্বকে মাখার পর ঠিক মতো কাজ করতে পারছে কি না, তা দেখা জরুরি। সারা দিন বাইরে থেকে ঘুরে তেল, ধুলো-ময়লা জমে থাকা মুখে যতই নামীদামি প্রসাধনী মাখুন না কেন, তা কোনও উপকারেই আসবে না। তাই ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে নিয়ম মেনে মুখ পরিষ্কার করতে হবে।
১) দিনে দু’বার
ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে অন্তত পক্ষে দিনে দু’বার মুখ পরিষ্কার করতেই হবে। অনেকেই মনে করেন, রাতে মুখ পরিষ্কার করেই ঘুমোতে গিয়েছেন। তা হলে ঘুম থেকে উঠে আবার মুখ পরিষ্কার করার প্রয়োজন কোথায়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতে ঘুমের মধ্যেও ত্বকের গ্রন্থি থেকে সেবাম উৎপন্ন হয়। তার উপর কোনও প্রসাধনী মাখলে তা কোনও কাজে আসবে না। তাই মুখ পরিষ্কার করতেই হবে।
২) উষ্ণ গরম জল
মুখ পরিষ্কার করতে ঠান্ডা বা গরম নয়, ঈষদুষ্ণ জল ব্যবহার করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। খুব গরম জল ব্যবহার করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে। আবার ঠান্ডা জলের ব্যবহারে ত্বক থেকে তেল বা ধুলো-ময়লা পুরোপুরি পরিষ্কার হতে পারে না।
৩) কোমল হাতে
সারা দিন কাজ করার পর রাতে মুখ পরিষ্কার করার সময়ে অনেকেই অধৈর্য পড়েন। তা়ড়াতাড়ি কাজ সারার জন্যে যা হোক করে মুখে ফেসওয়াশ মেখে, ধুয়ে নেন। অনেকে আবার মুখ থেকে ধুলো-ময়লা তোলার জন্যে শক্ত হাতে মুখে স্ক্রাব ঘষেন। যার ফলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৪) মেকআপ তুলতে হবে
বাড়ি ফিরে ক্লান্ত লাগলেও মুখে মেকআপ তুলতে হবে। মেকআপের এতটুকু অংশ যেন মুখে লেগে না থাকে। না হলে ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্রগুলি বন্ধ হয়ে সেখানে ব্রণ দেখা দিতেই পারে।
৫) ময়েশ্চারাইজ়ার
তবে মুখ পরিষ্কার করার পরে কিন্তু ময়েশ্চারাইজ়ার মাখতে ভুলবেন না। ফেসওয়াশ যতই মাইল্ড হোক, তা ত্বকের স্বাভাবিক তেলের পরিমাণ কিছুটা হলেও কমিয়ে দেয়। ফলে আর্দ্রতার অভাব হতেই পারে। তাই মুখ ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মুখে ময়েশ্চারাইজ়ার মেখে নেওয়া জরুরি।