অ্যান্টি-ড্যানড্রফ শ্যাম্পু কি মুখে মাখা যায়? ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষাকালে মাথায় খুশকির বাড়বাড়ন্ত হবে, এ আর নতুন কী! সেই খুশকি চুল থেকে কপাল, পিঠেও ছড়িয়ে পড়ে। সারা কপাল ছেয়ে যায় ব্রণয়। বয়ঃসন্ধিজনিত কিংবা শারীরিক কারণেও ব্রণ হয়। তবে কপালে বা পিঠে খুশকিজনিত ব্রণ কিন্তু সাধারণ ব্রণের চেয়ে আলাদা। সম্প্রতি এক নেটপ্রভাবী জানিয়েছেন, এই ধরনের ব্রণের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিনি কপালে, পিঠে খুশকি তাড়ানোর শ্যাম্পু মেখেছেন এবং ফলও পেয়েছেন।
কিন্তু এই টোটকা কি সত্যিই কাজের?
চিকিৎসকেরা বলছেন, ব্রণের মতো দেখতে কিন্তু একে ব্রণ বললেও ভুল হয়। বরং এই ধরনের সমস্যাকে ছত্রাকঘটিত রোগ বলা চলে। সাধারণত চুলের ফলিকল বা মাথার ত্বক থেকে এই ধরনের সংক্রমণ শুরু হয়। অনেকে একে ‘ব্যাক্টেরিয়াল অ্যাকনে’ বলেও ভুল করেন।
খুশকি তাড়ানোর শ্যাম্পুর মধ্যে ‘সোডিয়াম বেনজ়য়েট’ বা ‘কিটোকোনাজ়ল’-এর মতো নানা রকম রাসায়নিক থাকে। মাথার ত্বক থেকে খুশকি তাড়াতে এই ধরনের শ্যাম্পু বেশ কাজের। মাথার ত্বকের খুশকি থেকে কপালে, পিঠে ব্রণ হলে সে ক্ষেত্রেও এই টোটকা কার্যকরী। কিন্তু যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত স্পর্শকাতর, তাঁদের ত্বকে এই ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করা ঠিক নয়। সকলের ত্বকের জন্য তা উপযুক্ত নয়। তাই নেটপ্রভাবীদের দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে মুখে শ্যাম্পু না মাখাই ভাল।