ত্বকের নানা সমস্যায় সারা বছরই ভোগেন অনেকে। ছবি: সংগৃহীত।
ত্বকের নানা সমস্যায় সারা বছরই ভোগেন অনেকে। ব্রণ, ফুসকুড়ি তো লেগেই থাকে। এ ধরনের সমস্যার মোকাবিলা করতে অনেকেই ভরসা রাখেন নামীদামি সংস্থার বিভিন্ন প্রসাধনীর উপরে। শুধু তাই নয়, চটজলদি জেল্লা ফেরাতে অনেকে ভরসা নানা ঘরোয়া টোটকা। কিন্তু ঘরোয়া টোটকা মানেই যে তা ত্বকের জন্য উপকারী, তেমনটি না-ও হতে পারে। সবার ত্বকের ধরন এক রকম নয়। কারও ত্বক শুষ্ক, কারও আবার তৈলাক্ত। সারা দেহের তুলনায় মুখের ত্বক অনেক বেশি স্পর্শকাতর। অনেক ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করলেও ত্বকে কালচে দাগ পড়তে পারে, র্যাশ বেরোতে পারে এমনকি ত্বকের চামড়া পুড়েও যেতে পারে। তাই আখেরে ক্ষতি হতে পারে এমন কোনও উপাদান ত্বকে প্রয়োগ না করাই ভাল।
সারা দেহের তুলনায় মুখের ত্বক অনেক বেশি স্পর্শকাতর। ছবি: সংগৃহীত।
পাতিলেবুর রস
অনেক ফেসপ্যাকেই নানা প্রাকৃতিক উপাদানের সঙ্গে লেবুর রসও ব্যবহার করা হয়। সেই প্যাক মুখে লাগালে মুখের কালো দাগছোপ দূর হয়। ত্বকের জেল্লা ফেরাতেও কাজে আসে। ফেসপ্যাকে লেবুর রস ব্যবহারে ক্ষতি নেই, তবে শুধু লেবুর রস মুখে লাগালেই মুশকিল হতে পারে। সরাসরি পাতিলেবুর রস ত্বকে মাখলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
গরমজল
কেবল শীতেই নয় অনেকেই আছেন যাঁরা সারা বছর গরম জলেই স্নান করেন। কিন্তু গরম জল দিয়ে মুখ ধুলে ত্বক ভীষণ মাত্রায় শুষ্ক হয়ে যায়। অনেকেই স্টিম ফেসিয়াল করান। সে ক্ষেত্রে সরাসরি গরম জলে মুখ না ধোয়াই ভাল। মেক আপ তোলার সময় গরম জলে খানিকটা ঠান্ডা জল মিশিয়ে তার পরেই মুখে প্রয়োগ করুন। এতে ত্বকে পিএইচ এর ভারসাম্য বজায় থাকে।
মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রসাধন
ত্বকের যত্নে অনেক নামীদামি সংস্থার প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করেন। এই ধরনের প্রসাধনী দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবহার করা যায় না। এগুলি ব্যবহারের একটি নির্দিষ্ট মেয়াদকাল থাকে। কিন্তু অনেক সময়েই সেগুলির মেয়াদ ফুরিয়ে যায় নজরে পড়ে না। মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রসাধন ব্যবহার করার ফলে মুখের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। দাগও বসে যেতে পারে। তাই এ সব বিষয় সতর্কতা ভীষণ জরুরি।