Anant Ambani’s Watch

দামি ঘড়ি ভালবাসেন অনন্ত অম্বানী! তাঁর সংগ্রহের সাম্প্রতিক ঘড়িটি কেমন? দামই বা কত?

ধনকুবেরের সন্তান। রিল্যায়েন্স গোষ্ঠীর একাধিক সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদেও রয়েছেন। তাঁর পক্ষে বিশ্বের সেরা এবং বিরল সব ঘড়ি, যাকে ‘কালেক্টরস আইটেম’ বলা হয়, তা সংগ্রহ করা কোনও ব্যাপার নয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৫ ২০:০০
Share:
সস্ত্রীক অনন্ত অম্বানী।

সস্ত্রীক অনন্ত অম্বানী। ছবি : সংগৃহীত।

অনন্ত অম্বানীর হাতঘড়ি দেখে চমকে গিয়েছিলেন মার্ক জ়াকারবার্গও। মেটার কর্ণধার জ়াকারবার্গ, যিনি নিত্যনতুন গ্যাজেট বানান, যিনি চশমার কাচেই বিশ্বদর্শনের ব্যবস্থা করে ফেলেছেন, তাঁকেও দেখা গিয়েছিল অনন্তের ঘড়ির উপর ঝুঁকে পড়ে তা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতে। কারণ, অনন্তের হাতঘড়ির সংগ্রহ দেখার মতোই।

Advertisement

ধনকুবেরের সন্তান। রিল্যায়েন্স গোষ্ঠীর একাধিক সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদেও রয়েছেন। তাঁর পক্ষে বিশ্বের সেরা এবং বিরল সব ঘড়ি, যাকে ‘কালেক্টরস আইটেম’ বলা হয়, তা সংগ্রহ করা কোনও ব্যাপার নয়। আর তিনি তা করেনও। ঘড়ি নিয়ে অনন্তের উৎসাহ এতটাই বেশি যে, নিজের বিয়েতে বিশেষ বন্ধুদের উপহার দেওয়ার জন্যও কয়েক কোটি টাকা মূল্যের এক একটি ‘কালেক্টরস আইটেম’ কিনেছিলেন তিনি। সেই ঘড়ি উপহার পেয়েছিলেন রণবীর সিংহ, শাহরুখ খান, হার্দিক পাণ্ড্যদের মতো বরপক্ষের তারকারা। কিন্তু অনন্তের নিজের সংগ্রহের সাম্প্রতিক ‘কালেক্টরস আইটেম’ কোনটি?

নিজের সংস্থা বনতারার অনুষ্ঠানে দিন কয়েক আগেই কালো টি-শার্টের সঙ্গে একটি ঘড়ি পরতে দেখা গিয়েছিল অনন্তকে। যাঁরা অনন্তের ঘড়ির সংগ্রহের দিকে নজর রাখেন এবং যাঁরা ঘড়ির ব্যাপারে খবর রাখেন, তাঁরা বলছেন ওই ঘড়ির দাম ৩০ কোটি টাকা!

Advertisement
সাদা-কালো হিরে দিয়ে গাঁথা একটি পান্ডা। তার হাতে সোনারঙের বাঁশপাতা। পাশে বাঁশঝাড়টিও সোনা দিয়েই তৈরি। পান্ডার জিভ তৈরি লাল চুনি দিয়ে।

সাদা-কালো হিরে দিয়ে গাঁথা একটি পান্ডা। তার হাতে সোনারঙের বাঁশপাতা। পাশে বাঁশঝাড়টিও সোনা দিয়েই তৈরি। পান্ডার জিভ তৈরি লাল চুনি দিয়ে। ছবি: রিচার্ড মিলের ওয়েবসাইট থেকে।

অর্থাৎ অনন্তের একটি ঘড়ির দাম মুকেশ অম্বানীর ব্যক্তিগত রোলস রয়েস গাড়ির চেয়েও বেশি। মুকেশের ব্যক্তিগত রোলস রয়েস গাড়িটির দাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি টাকা। সেই হিসাবে অনন্তের একটি ঘড়ির দামে মুকেশের ২টি গাড়ি কেনা যাবে।

ঘড়িটির বহিরাবরণ তৈরি হয়েছে ১৮ ক্যারেটের হোয়াইট গোল্ড দিয়ে। তাতে খোদাই করে গেঁথে দেওয়া সারি সারি হিরে। ভিতরের ডায়ালে স্পষ্ট দৃশ্যমান ঘড়ির মেশিন। তার উপরে সাদা-কালো হিরে দিয়ে গাঁথা একটি পান্ডা। তার হাতে সোনারঙের বাঁশপাতা। পাশে বাঁশঝাড়টিও সোনা দিয়েই তৈরি। পান্ডার জিভ তৈরি লাল চুনি দিয়ে।

ঘড়িটি সুইৎজ়ারল্যান্ডের নামী ঘড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা দ্য রিচার্ড মিলের ‘আরএম ২৬-০১ ট্যারবিলন পান্ডা’ মডেলের। ঘড়িটি শুধু বিলাসিতার শেষ কথা নয়, সেটি আপাদমস্তক একটি শিল্পও বটে।

ডায়ালে গোল্ড ফিশ আর পদ্মপাতা। ছবি: সংগৃহীত।

সুইস ঘড়ি প্রস্তুতকারক রিচার্ড মিলের ঘড়ি পছন্দ করেন অনন্ত। এর আগেও তাঁকে ওই সংস্থার ঘড়ি পরতে দেখা গিয়েছে। অনন্তের সংগ্রহের এমনই একটি রিচার্ড মিলের হিরেখচিত ঘড়ির ডায়ালে গোল্ড ফিশ এবং পদ্মপাতার কারিকুরি দেখা গিয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement