চেহারা বদলে ফেলুন চুলের নয়া ছাঁটে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
৩০ পেরোলেই চেহারায় বদল আনার কথা ভাবেন অনেকেই। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেয়েরা নাকি নিজেদের বিষয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়ে পড়ে। এই সচেতনতা থেকেই ত্রিশোর্ধ্বারা চুলে পরিবর্তন আনতে চান।
নীচে ৫ রকমের চুলের ছাঁটের সম্পর্কে জানানো হল। আপনার নিজের জন্য কোনটি পছন্দ হয়?
শ্যাগ
গত কয়েক বছরে শ্যাগ হেয়ারকাটের জনপ্রিয়তা ফের বেড়েছে। চুলের এই ছাঁটের ফলে মাথার অতিরিক্ত ভার কমে যায়। তার উপর মুখের উপর চুলের একাধিক স্তর তৈরি হয়। ফলে হাইলাইট হয় মুখমণ্ডল। এই হেয়ারকাটের পর চুলের বিশেষ যত্নেরও প্রয়োজন নেই। সুবিধা, স্বস্তি এবং ফ্যাশন— তিনটি একই সঙ্গে পেতে হলে শ্যাগ হেয়ারকাট আদর্শ।
শ্যাগ হেয়ারকাট। ছবি: সংগৃহীত।
বাটারফ্লাই কাট
সব দৈর্ঘ্যের চুলের জন্যই বাটারফ্লাই কাট মানানসই। যাঁরা নিজেকে একই লুকে দেখে দেখে বিরক্ত হয়ে গিয়েছেন, তাঁরা একঘেয়েমি কাটাতে বাটারফ্লাই কাটে ভরসা রাখতে পারেন। যাঁদের চুল লম্বা, তাঁদের জন্য এই কাট বিশেষ ভাবে প্রযোজ্য।
বাটারফ্লাই কাট। ছবি: সংগৃহীত।
ব্যাংস
প্রতি বছরই চুলের ট্রেন্ডে ফিরে ফিরে আসে ব্যাংস হেয়ারকাট। চেহারা পরিবর্তনের সবচেয়ে সহজ উপায়গুলির একটি। বলিউড থেকে হলিউড, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া থেকে ক্লোয়ি কার্দাশিয়ান, ব্যাংস কাটের অনুগামী বহু তারকাই।
ব্যাংস হেয়ারকাট। ছবি: সংগৃহীত।
পিক্সি কাট
সব সময়ই ফ্যাশনে ‘ইন’ পিক্সি কাট। সাজগোজের জগতে চুলের ট্রেন্ডে চিরকালই মধ্যমণি। তবে একেবারে ছোট হেয়ারকাটের চেয়ে ভারী এবং অল্প লম্বা চুলে পিক্সি বেশি মানাতে পারে ত্রিশোর্ধ্বাদের। তবে কেউ কেউ ছোট চুলের পিক্সিই বেশি পছন্দ করেন।
পিক্সি হেয়ারকাট। ছবি: সংগৃহীত।
আন্ডারকাট
ফ্যাশনের জগতে খুবই প্রশংসিত, কিন্তু সমাজের সব ক্ষেত্রে চুলের এই ছাঁট গ্রহণযোগ্য নয় এখনও। তবে ৩০-এর পর যদি মনে হয়, বাঁধ ভাঙার ইচ্ছে হচ্ছে, তা হলে অবশ্যই কোনও কিছুর পরোয়া না করে আন্ডারকাট করাতে পারেন চুলে। ভারতীয় থেকে পাশ্চাত্য, সব রকমের পোশাকের সঙ্গেই ভাল মানায় এই ছাঁট। বিশেষ করে গরমে খুবই আরামদায়ক।
আন্ডারকাট। ছবি: সংগৃহীত।