যত্ন রাখুন বৃক্কের।
বৃক্কের ক্রনিক অসুখের কোনও নির্দিষ্ট উপসর্গ থাকে না। এই কারণেই সহজে অসুখ ধরা পড়ে না। যাঁদের বংশে বৃক্কের ক্রনিক অসুখ আছে এবং রক্তচাপ বা ডায়বিটিসে ভুগছেন, তাঁদের বছরে অন্তত এক বার বৃক্কের কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করে নেওয়া প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার, বিশ্ব বৃক্ক দিবসে এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
শুধুমাত্র প্রস্রাব পরীক্ষা বা ইউরিয়া ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা জানলেই বৃক্কের কাজ করার ক্ষমতা আঁচ করা মুশকিল। বৃক্কের চিকিৎসক প্রতীক দাস জানালেন, বৃক্ক প্রায় ৪০ শতাংশ খারাপ হয়ে গেলে, তবেই ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে যত ক্ষণে পরীক্ষায় তা ধরা পড়ে, তত ক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। ফলে কিছু উপসর্গের বিষয়ে সচেতন হতে হবে সকলকেই। যে সব উপসর্গ দেখা দিলে, সঙ্গে সঙ্গে পরামর্শ নিতে হবে চিকিৎসকের—
বারবার প্রস্রাবের সংক্রমণ
এ সব উপসর্গ দেখা দিলে বৃক্কের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে সমস্যা এড়ানো সম্ভব। তার জন্য জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। কী কী?
এরই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে, এ দেশে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বৃক্কের ক্রনিক অসুখের কারণ উচ্চরক্তচাপ ও ডায়বিটিস। ওষুধের সাহায্যে এই দুই রোগ নিয়ন্ত্রণ না করলে কিডনির কর্মক্ষমতা কমতে শুরু করে। এ দেশে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জন বৃক্কের ক্রনিক অসুখে ভুগছেন। ২০০৬ সাল থেকে মার্চ মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্বজুড়ে বৃক্ক দিবস পালন করা হয়। তবে শুধু এক দিন নয়, বৃক্কের অসুখ এড়াতে সচেতন থাকতে হবে রোজই।