রামমন্দিরের কাছেই খুলবে কেএফসি-র দোকান? ছবি: সংগৃহীত।
রামমন্দিরের ঠিক ১ কিলোমিটারের মধ্যেই দীনেশ যাদবের ডমিনোজ় পিৎজ়ার দোকানে উপচে পড়ছে ভিড়। রামমন্দির চত্বরে আমিষ খাবারের দোকান খোলার অনুমতি নেই। তবে পশ্চিমি খাবারের প্রতি মানুষের ঝোঁক এতটাই বেশি যে, নিরামিষ পিৎজ়া খেতেও দীনেশের দোকানের সামনে লম্বা লাইন পড়ছে। দীনেশ বলেন, ‘‘দোকান উদ্বোধনে প্রথম দিনেই আমরা ৫০০০ টাকার ব্যবসা করি। দোকানের কাজ এখনও চলছে। এখনও খুব বেশি লোককে আমরা একসঙ্গে বসার জায়গা দিতে পারছি না, তবে খুব শীঘ্রই জায়গার সমস্যা কাটিয়ে উঠব আমরা।’’
রামমন্দির থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরের অওধ মলের পিৎজ়া হাটের ম্যানেজার অওধ কুমার বর্মা মন্দিরের কাছে তাঁদের কোনও দোকান না থাকার কারণে আফসোস প্রকাশ করলেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ব্যবসা ভালই চলছে। তবে মন্দিরের আরও একটু কাছে দোকানটা থাকলে আরও ভাল হত। পুণ্যার্থীদের ভিড় ওই এলাকায় বেশি। দোকানে কেবল নিরামিষ খাবারই রাখি আমরা। রামমন্দির থেকে আমাদের দোকানটি খানিকটা দূরে হলেও আমরা মেনুতে কোনও আমিষ খাবার রাখিনি।’’
অযোধ্যায় পঞ্চ কোসি মার্গের মধ্যে মদ ও মাংস পরিবেশন কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। পঞ্চ কোসি পরিক্রমা হল অযোধ্যার চারপাশে ১৫ কিলোমিটারের একটি তীর্থযাত্রার বলয়, যেখানে রামায়ণের সঙ্গে যুক্ত পবিত্র স্থানগুলি পরিদর্শন করা হয়। অযোধ্যার উচ্চপদস্থ সরকারি অফিসার বিজয় সিংহ বলেন, ‘‘বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের খাবার প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি রামমন্দিরের চারপাশের এলাকায় তাঁদের শাখা খোলার প্রস্তাব নিয়ে আমাদের কাছে আসছে। আমাদেরও তাতে কোনও আপত্তি নেই। তবে সেই সব দোকানে আমিষ খাবার বিক্রি করা চলবে না। কেএফসি অযোধ্যা-লখনউ সড়কপথে ইতিমধ্যেই একটি শাখা খুলেছে। আমরা কেএফসিকে রামমন্দিরের কাছে জায়গা দিতে রাজি, যদি তারা নিরামিষ খাবার পরিবেশন করার প্রতিশ্রুতি দেয়।’’
আপতত এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠেয় রামনবমী পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে অযোধ্যায় প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ মানুষের ভিড় হবে বলে অনুমান করছে সেখানকার প্রশাসন। তবে এর পরেও ভিড় এমনই থাকবে বলে আশাবাদী তারা।