শ্বেতী ছোঁয়াচে নয়। গুজবে কান দেবেন না।
২৫ জুন আমরা পেরিয়ে এলাম ‘বিশ্ব শ্বেতী দিবস’। বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় ১-২ শতাংশ মানুষ এর শিকার। অঙ্কটা শুনতে কম হলেও, পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও অভ্যাসের ফলে এই অসুখের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বরং ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদের।
ভারতেও এর প্রভাব কম নয়। বিশ্ব শ্বেতী দিবসেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে এই অসুখ সম্পর্কে সচেতনতার বার্তা দিয়েছেন। শ্বেতীর প্রবণতা কমাতে দুনিয়ার বিভিন্ন গবেষণা্য় উঠে এসেছে নানা তথ্য। নিজের ডায়াটে রাখা যেতেই পারে এমন কিছু খাবার, যার প্রভাবে অনেকটাই কমতে পারে শ্বেতী।
আরও পড়ুন: আমের নামগুলো এমন অদ্ভুত হল কেন, জানেন?
ঘুরতে যেতে ভালবাসেন? সঙ্গে রাখুন এই পাঁচ গ্যাজেট
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় ঘোষের মতে, বেশ কিছু নিয়ম পালন করতে পারলেই শ্বেতী নিয়ন্ত্রণে থাকে। যেমন:
যে কোনও পাকা ফল, বিশেষত পাকা আম বা পাকা পেঁপে রাখুন খাদ্যতালিকায়। এড়িয়ে চলুন সূর্যালোক। তা হলে কি বাড়ির বাইরে বোরনোই মানা? তা নয় মোটেই। সূর্যের আলোয় বেরলে ব্যবহার করুন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সানস্ক্রিম। কমান মানসিক উদ্বেগ। শ্বেতী-সহ নানা চর্মরোগকেই ছড়ায় মানসিক চাপ। তাই চেষ্টা করুন ফুরফুরে থাকতে। খাদ্যতালিকায় রাখুন ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার। যে কোনও রাসায়নিক এ ক্ষেত্রে ক্ষতি করতে পারে। তাই কমমেটিকস, ব্যাগ, জুতো কেনার সময় পরামর্শ নিন চিকিৎসকের।পারলে কালো রং ও খাঁটি চামড়ার জিনিস এড়িয়ে চলুন। ভাঙুন ভ্রান্ত ধারণা: শ্বেতী মানেই তা বংশগত নয়। বরং শতাংশের হিসেবে খুব কম প্রকারের শ্বেতীই জিনগত। চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, শ্বেতী কখনওই ছোঁয়াচে নয়। গুজব বা ভুল বোঝানোয় পা না দিয়ে ভরসা রাখুন বিজ্ঞানে।