ওজন কমাতে হলে লো-কার্ব, হাই প্রোটিন ডায়েট মেনে চলতে হবে। অথাত্, ডায়েটে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়াতে হবে। অনেকেই এই ডায়েট মেনে চলেন। উপকারও পান। কিন্তু সত্যিই কি এই ডায়েট উপকারি? বিজ্ঞানসম্মত? ডায়েটিশিয়ানরা কিন্তু বলছেন, ‘না’। তাঁরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘ সময়ের জন্য ডায়েট থেকে কার্বোহাইড্রেট বাদ দিলে তা মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে শরীরের।
কেন তা হলে লো-কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন ডায়েট এত জনপ্রিয়?
শর্ট টার্ম বেনিফিট: যে হেতু একেবারে অনেকটা খাবার কমিয়ে দিচ্ছেন তাই প্রথমে সহজেই বেশ খানিকটা ওজন কমে। শরীর ক্যালোরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, কোনও কিছু খাবার ডায়েটে যোগ করার থেকে কোনও কিছু ছেঁটে ফেলা সহজ। কিন্তু এই ডায়েট প্রোটিন-কার্বোহাইড্রেটের ব্যাপারে ভুল ধারণা তৈরি করে।
কার্বোহাইড্রেট
কেন কার্বোহাইড্রেট উপকারি
কার্বোহাইড্রেট এনার্জির মূল উত্স হওয়ার পাশাপাশি মুড ভাল রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট প্রয়োজন। ফ্যাট মেটাবলিজমের জন্যও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কার্বোহাইড্রেট। তাই ফ্যাট কমাতে চাইলে কার্বোহাইড্রেট খেতেই হবে।
কিন্তু ফ্যাটের মধ্যে যেমন ভাল ফ্যাট ও খারাপ ফ্যাট রয়েছে, তেমনই কার্বোহাইড্রেটের মধ্যেও রয়েছে সরল কার্বোহাইড্রেট ও জটিল কার্বোহাইড্রেট। চকোলেট, কেক, মিষ্টি ও মিষ্টি পানীয় সরল কার্বোহাইড্রেট। এই ধরনের কার্বোহাইড্রেট হজম করতে পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না। তাই এই কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলুন। তার বদলে বেছে নিন ভাত, আলু, রাঙাআলু, গোটাশস্য। সব্জি, ফলের মতো জটিল কার্বহাইড্রেট। যা হজম করতে শরীরকে কষ্ট করতে হয়।
প্রোটিন
বেশি প্রোটিন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর
শরীরে টিস্যু তৈরি করতে, কোষের ক্ষয় রুখতে ও উত্সেচক, হরমোন, নিউরোট্রান্সমিটারের কার্যকারিতা বজায় রাখতে প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পেশীর গঠনেও প্রয়োজনীয় প্রোটিন। কিন্তু কেন প্রোটিন ওজন কমাতে সাহায্য করে জানেন? কারণ প্রোটিন হজমের জন্য বেশি ক্যালরি প্রয়োজন হয়। প্রোটিন শরীরের মেটাবলিক রেট ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ে। যার ফলে কিডনি সমস্যা, অস্টিওপরেসিস, ক্যানসারের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: গরমে সুস্থ থাকতে রোজ খান ১ কাপ আনারস
ব্যালান্সড মিল
সুস্থ থাকতে ডায়েটে ৬৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট, ২৫ শতাংশ প্রোটিন ও ১০ শতাংশ ফ্যাট থাকা প্রয়োজন।