কফি খাওয়ার সময় ৫ ভুল এড়িয়ে চলুন। ছবি: ফ্রিপিক।
দুধ, চিনি মেশানো এক কাপ গরম কড়া কফির তুলনা নেই। ঘুম ছাড়ানো হোক বা কাজের ফাঁকে ক্লান্তি কাটানো, কফি বড়ই কাজের। কিন্তু মুশকিল হল কফি খাওয়ার পরের কষ্ট। কারও যেমন কফি খাওয়ার পরে খিদে কমে যায়, কারও আবার অম্বলের সমস্যা হয়। কারও আবার পেটে অস্বস্তি শুরু হয়। কী ভাবে এই সমস্যা কাটিয়ে উঠবেন?
১। প্রথমেই দেখা দরকার দুধ কফি, বেশি চিনি দিয়ে খেলে সমস্যা হচ্ছে না কি কালো কফিতেও তা হচ্ছে। অনেকেরই কালো কফিতে চুমুক দিলে এই ধরনের সমস্যা হয় না। রেস্তরাঁয় ক্রিম দিয়েও কফি দেওয়া হয়। ঘন ফোটানো দুধ হজম করাও তুলনামূলক ভাবে শক্ত। তা ছাড়া কেউ কেউ দুধে থাকা ল্যাক্টোজ় নামক উপাদান হজম করতে পারেন না। যাঁদের এই সমস্যা থাকে, তাঁরা দুধ কফি এড়িয়ে চলতে পারেন। বদলে ল্যাক্টোজ় নেই এমন দুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
২। কফি হল ডাইইউরেটিক। ডাইইউরেটিক খাবার শরীর থেকে জল এবং নুন বার করতে কিডনিকে উদ্দীপিত করে। ফলে জলশূন্যতা দেখা দিতে পারে। সে কারণে অনেক পুষ্টিবিদ পরামর্শ দেন কফি খাওয়ার আগে এবং কিছু ক্ষণ পরে জল খাওয়ার।
৩। অনেকেই কফিতে বেশি চিনি খেতে পছন্দ করেন। ঘন দুধ, কফি এবং চিনির মিশেলে অম্বল হয় কারও কারও। পেট ফাঁপে। এ ক্ষেত্রে চিনি পরিমিত খেয়ে বা চিনি বাদ দিয়ে খেয়ে দেখুন সমস্যার সমাধান হয় কি না।
৪। অনেকে হয়তো দিনে বার বার কফি খান না, কিন্তু কড়া কফি খান। এতে এক কাপেই অনেকটা কফি চলে যায়। অতিরিক্ত কফি খেলেও পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে ডিক্যাফিনেটেড কফি বেছে নিতে পারেন। এই ধরনের কফিতে ক্যাফিনের পরিমাণ খুব অল্প থাকে।
৫। কফির সঙ্গে বার্গার, পিৎজ়া, ভাজাভুজি খেলেও এই সমস্যা হতে পারে। বিশেষত দুধ কফির সঙ্গে সব ধরনের খাবার খাওয়া চলে না। বদলে বিস্কিট, বাদাম খেতে পারেন।
কফি শরীর-মন তরতাজা করলেও অতিরিক্ত ক্যাফিন শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। দিনে এক থেকে দু’বারের বেশি কফি খেতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা।