খুদের হাতে মোবাইল, রাশ থাক অভিভাবকের হাতে। ছবি: সংগৃহীত।
বিনোদনের সিংহভাগ জুড়েই এখন থাকে মোবাইল। মুঠোফোনের এক ক্লিকেই পছন্দের সিনেমা, ওয়েব সিরিজ়, গেম্স, রিল্স, ভিডিয়ো চাইলেই হাতের কাছে পাওয়া যায়। পাওয়া যায় এর চেয়ে বেশিও। কিন্তু মোবাইল তো শুধু বিনোদনের জন্য নয়, কাজও আছে অনেক। এই যেমন কোভিড পরিস্থিতি বুঝিয়েছে অনলাইন ক্লাসের প্রয়োজনীয়তা।
চার বছরের খুদেই হোক বা বয়ঃসন্ধির কিশোর, পড়াশোনার প্রয়োজনেও তাদের হাতে মোবাইল দিতে হয়। কিন্তু এর ব্যবহারের উপর নির্ভর করে অনেক কিছুই। প্রয়োজনে খুদের হাতে মোবাইল তুলে দিলেও, নজরদারি প্রয়োজন অভিভাবকের। কোন কোন দিক দেখা প্রয়োজন?
১. মোবাইলের পর্দা থেকে যে নীল আলো বার হয় তা চোখের জন্য ভাল নয়। তাই পঠনপাঠনের জন্য খুদের হাতে মোবাইল দিলে তা টেবিলের উপর একটি স্ট্যান্ডে বসিয়ে দিন। মোবাইলের খুব কাছে চোখ দিয়ে কিছু দেখা ভাল নয়। অন্তত দেড় ফুট দূরত্ব হলে ভাল হয়।
২. টানা ৪৫ মিনিটের বেশি মোবাইলে চোখ রাখা একেবারেই অনুচিত। বিশেষত খুদের জন্য। সে ক্ষেত্রে একটা ক্লাস শেষ হলে তাকে একটু ঘুরে আসতে বলুন।
৩. খুদের পড়াশোনার জন্য যে মোবাইল ব্যবহার করছেন তাতে পড়াশোনার বিভিন্ন অ্যাপ্স রাখুন। বাচ্চারা খেলতে খেলতে পড়াশোনা শিখবে এমন অনেক অ্যাপ রয়েছে, সেগুলি হাতের কাছে রাখুন।
৪. খুদের হাতে দেওয়া মোবাইল বড়রা ব্যবহার করলে ভীষণ সতর্ক হতে হবে। তার কারণ, বড়রা এমন অনেক কিছুই দেখেন যা সার্চ ইঞ্জিনে রয়ে যায়। অনেক সময় বিশেষ ধরনের দু’-একটি ভিডিয়ো দেখলে সেই ধরনের ভিডিয়ো স্ক্রল করার সময় চলে আসে। তা যদি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কিছু হয়, অপরিণত শিশু মনে আচমকা তা দেখে ফেলার গভীর অভিঘাত হতে পারে। চেষ্টা করুন খুদের হাতে যে মোবাইল দিচ্ছেন তা একেবারেই আলাদা রাখার।
৫. মোবাইলে যাতে তার অনুপযুক্ত ভিডিয়ো না আসে সে জন্য ইন্টারেনেটের সংযোগের নিয়ন্ত্রণ আপনার নিয়ন্ত্রণে রাখুন। খুদের ক্লাস শেষ হয়ে গেলে ফোনের ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দিন। খুদের জন্য কিছু কার্টুন বা পড়াশোনার অ্যাপ আগে থেকেই নামিয়ে রাখতে পারেন। তা নিয়েই খেলবে সে।
৬. চার্জে দেওয়া অবস্থায় সন্তানের হাতে মোবাইল দেবেন না।