Fighting Cancer

‘শেষের ক’টা দিন বড্ড কঠিন ছিল! তবু লড়াই ছাড়িনি’, ক্যানসার-যুদ্ধের সারকথা শেখালেন হিনা

একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে হিনা জানিয়েছেন, শেষ ১৫-২০ দিনের সফর তাঁর কাছে অত্যন্ত কঠিন ছিল। কতটা কঠিন, তার ব্যাখ্যা করে হিনা লিখেছেন, ‘‘শারীরিক এবং মানসিক ভাবে কঠিনতম।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৯
Share:

হিনা খান। ছবি : ইনস্টাগ্রাম।

ক্যানসারের বিরুদ্ধে যাঁরা লড়ছেন, তাঁদের যুদ্ধজয়ের সারকথা শেখালেন অভিনেত্রী হিনা খান। ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর হিনাকেও প্রতি মুহূর্তে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। অস্ত্রোপচারের পর কেমোথেরাপি-সহ অন্যান্য চিকিৎসার মধ্যে দিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় রয়েছেন অভিনেত্রী। কিন্তু ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধটা কতটা অসম, তা যাঁরা সেই যুদ্ধে নেমেছেন তাঁরাই জানেন। হিনা তাই নিজের অভিজ্ঞতালব্ধ উপলব্ধি ভাগ করে নিয়েছেন ক্যানসারযুদ্ধের সহযোদ্ধাদের সঙ্গে। শিখিয়েছেন, তিনি কী ভাবে ওই যুদ্ধ লড়ার শক্তি সঞ্চয় করেছেন। হিনা বলেছেন, ‘‘প্রতি দিন নিজেকে প্রস্তুত করে যুদ্ধে নামতে হবে। দরকারে প্রতি দিন একই কথা বার বার নিজেকে বোঝাতে হবে। কোনও যুদ্ধেই সহজে জয় আসে না।’’

Advertisement

হিনার ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে এখনও। চিকিৎসার বিভিন্ন পর্যায়ে নিজের যন্ত্রণা, হতাশা এবং সেই হতাশা কাটানোর কথা অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে হিনা জানিয়েছেন, শেষ ১৫-২০ দিনের সফর তাঁর কাছে অত্যন্ত কঠিন ছিল। কতটা কঠিন, তার ব্যাখ্যা করে হিনা লিখেছেন, ‘‘শারীরিক এবং মানসিক ভাবে কঠিনতম। প্রতিকূলতা আসবে জানতাম। প্রতিকূলতা এলও। কিন্তু আমি ঠিক করে নিয়েছিলাম, যা-ই হোক না কেন, যত বড়ই প্রতিকূলতা হোক, তার মুখোমুখি দাঁড়াব। দরকার হলে আমার সবটুকু দেব। তা-ই করেছি। একটুও ভয় পাইনি। যে শারীরিক বাধা এবং যে মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে, তা বলার মতো নয়। কিন্তু তার সামনে হেরে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ছিল না। তাই আমি লড়াই করেছি। আর এখনও করছি।’’

ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

ক্যানসারের চিকিৎসার বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন ওষুধের নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। যার ফলে রোগী শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। এমনকি শরীরের নানা পরিবর্তন দেখে মানসিক ভাবেও বিধ্বস্ত হয়ে পড়তে পারেন। হিনা ঠিক কোন পর্যায়ে পৌঁছে কঠিনতম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন, তা ব্যাখ্যা না করলেও বিস্তারে জানিয়েছেন, কঠিন সময় পেরোনোর জন্য নিজেকে কী ভাবে তৈরি করেছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে বাড়ির বারান্দায় বসে টুপি আর শাল জড়িয়ে কফির কাপে চুমুক দেওয়ার এক গুচ্ছ ছবি দিয়েছেন অভিনেত্রী। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘‘সুস্থ হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কঠিন পরিস্থিতি আর জীবনের মধ্যে একটা ভারসম্য রাখতেই হবে আমাকে। হাসিমুখে, হার-না-মানা মনোভাব নিয়ে ভাবতে হবে, টানেলের শেষ প্রান্তে সত্যিকারের আনন্দ অপেক্ষা করে রয়েছে। নিজেকে আমি এটাই বোঝাই। আর আপনাদেরও এটা বলতে চাই।’’

Advertisement

ক্যানসারের বিরুদ্ধে যাঁরা লড়ছেন, তাঁদেরকে হিনার পরামর্শ, ‘‘জীবন নিজের মতো চলতে থাকে, এই কথা বলাটা যত সহজ আদতে কিন্তু বাস্তব ততটা সহজ নয়। জীবন নিজের মতো চলে না। জীবন যাতে ঠিকঠাক চলে, তার জন্য আমাদেরই কিছু কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়। পরিস্থিতি যেমনই হোক, যদি দরকার পড়ে, তবে ওই একই সিদ্ধান্ত প্রতি দিন নিতে হবে। আশা করি, আপনারাও জীবনের যুদ্ধ লড়াই করার মতো মানসিক জোর পাবেন। আশা করি, জীবনযুদ্ধে লড়তে লড়তে আমরা প্রত্যেকেই একদিন বিজয়ী হব। তাই হাসতে ভুলবেন না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement