Celebs Durga Puja

পুজোয় ভিন্ন স্বাদের খাবার চেখে দেখতে হলে কোন ঠিকানায় যাবেন, হদিস দিলেন সুজয়প্রসাদ

পুজোর পেটপুজো নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে আড্ডায় বসলেন সুজয়প্রসাদ। পুজোয় ভিন্ন প্রদেশের খাবার চেখে দেখতে হলে কোন ঠিকানায় যাবেন, তার হদিস দিলেন শিল্পী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:৪৮
Share:

সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

দুর্গাপুজোর সঙ্গে খাওয়াদাওয়ার সম্পর্ক নিবিড়। মন ভরে পেটপুজো না করলে দুর্গাপুজোটা ঠিক জমে না! সারা বছর ডায়েট করলেও পুজোর ক’টা দিন ওজন নিয়ে খুব বেশি পরোয়া করেন না অনেকেই। খাদ্যরসিক মানুষ শিল্পী সুজয়প্রসাদ। সারা বছর ধরেই তার পছন্দের মেনুতে থাকে বিভিন্ন প্রদেশের রকমারি পদ। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন কুইজ়িনের খাবার চেখে দেখতে ভালবাসেন সুজয়প্রসাদ। তাঁর পুজোর খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ছেলেবেলার স্মৃতি। পুজোর পেটপুজো নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে আড্ডায় বসলেন সুজয়প্রসাদ। পুজোয় ভিন্ন প্রদেশের খাবার চেখে দেখতে হলে কোন ঠিকানায় যাবেন, তার হদিসও দিলেন শিল্পী।

Advertisement

রকমারি খাওয়াদাওয়া ছাড়া উৎসব পালনের কথা ভাবতেও পারেন না সুজয়প্রসাদ। তিনি বলেন, ‘‘পুজোর সময় এলেই মায়ের হাতের রান্না বড্ড মিস্ করি। মা দারুণ রাঁধতেন। পুজোর সময়ে কোথাও বাঙালি খাবার খেতে হলেই মায়ের কথা মনে পড়ে যায়। লুচির সঙ্গে মা যে আলুর দমটা বানাতেন, সেটার স্বাদ ছিল অসাধারণ। এ ছাড়া, পুজোর সময়ে মা এক ধরনের সাদা পোলাও বানাতেন, সেই পোলাও নামী-দামি রেস্তরাঁর বাসন্তী পোলাওকেও টেক্কা দিতে পারে। মায়ের হাতের রান্নার মধ্যে চিংড়ির মালাইকারি আর কই মাছটা ছিল আমার ভীষণ পছন্দের। এখন পুজোর সময়টা অনেক সময়ে বন্ধুবান্ধবের বাড়িতে পুজোর নিমন্ত্রণ থাকে। আর পুজোর ভোগের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হল লুচি আর বোঁদে। সেটা খেতে আমি বড় ভালবাসি।’’

ছোটবেলায় বিডন স্ট্রিটের মামাবাড়িতে পুজোর দিনগুলি কাটত সুজয়প্রসাদের। শিল্পী বলেন, ‘‘মামাবাড়িতে ওই সময়ে এলাহি ভোজের আয়োজন হত। দাদু নিজের হাতে আমাদের জন্য রান্না করতেন। দাদুর হাতের মটন কষার স্বাদ ভোলার নয়। মাটির উনুনে রান্না করা হত সেই মাংস, তাই তাঁর স্বাদও হত একেবারে আলাদা।’’

Advertisement

বিরিয়ানি নয়, সুজয়প্রসাদের পছন্দের তালিকায় প্রথমে থাকে এশিয়ান খাবার। পুজোর ক’দিন বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে শহরের বিভিন্ন রেস্তরাঁয় যেতে পছন্দ করেন তিনি। যাঁরা একটু বাঙালি খাবার কিংবা বিরিয়ানি বাদে ভিন্ন স্বাদের খাবার পাওয়া যায় এমন ঠিকানার খোঁজ করছেন, তাঁদের জন্য সুজয়প্রসাদ করলেন মুশকিল আসান। তিনি বলেন, ‘‘জাপানি খাবার খেতে হলে ওয়েস্টিনের নুরিকে রাখতে পারেন পছন্দের তালিকায়। কোরিয়ান খাবার চেখে দেখতে হলে গোলপার্কের কাছে সয় ইয়াম বেশ ভাল। ভাল চিনা খাবার খেতে হলে ফোরাম মলের উপরে রয়্যাল চায়নায় ঢুঁ মারতে পারেন। আর কন্টিনেন্টালের জন্য পার্ক স্ট্রিটের মোক্যাম্বো আর পিটার হু-তে যেতেই পারেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement