২০২১ সালে প্রতি ১০ লক্ষে ১২০ জনের মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা। ছবি- প্রতীকী
‘ন্যাশনাল ক্রাইম স্টেশন ব্যুরো’-র সমীক্ষা বলছে, ২০২১ সালে প্রতি ১০ লক্ষে ১২০ জনের মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা। গত বছরগুলির তুলনায় যা ৬.১ শতাংশ হারে বেড়েছে। দেশজুড়ে লকডাউন চলাকালীন আত্মহত্যার শতকরা হার বৃদ্ধি পেয়েছিল অনেকটাই। বেকারত্ব, সম্পর্কের অবনতি, অবসাদ— এমন কয়েকটি কারণকে আত্মহত্যার জন্য দায়ী করা হয়েছিল। অন্তত ২০২০ সালে ‘এনসিবি’ রিপোর্ট তেমনটাই বলছে।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে আত্মহত্যার কারণে মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩৩ জনের। ২০২০ সালে সেই সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৫৩ হাজার। অর্থাৎ, এক বছরে আত্মহত্যার হার বেড়েছে ৬.২ শতাংশ। এর আগে ২০১০ সালে আত্মহত্যাজনিত মৃত্যুর সংখ্যা রেকর্ড গড়েছিল। ২০২১-এর রিপোর্ট সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আত্মহত্যা যাঁরা করেছেন, তাঁদের মধ্যে প্রায় দুই তৃতীয়াংশ বেকারত্বের সমস্যায় ভুগছিলেন। এ ছাড়াও শিক্ষার্থী, দিনমজুর, বেতনভোগী শ্রমিক, কৃষকরাও রয়েছেন সেই তালিকায়। আত্মহত্যার পাশাপাশি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর হারও অনেক বেড়েছে। ২০২০ সালে কোভিড স্ফীতিতে পথ দুর্ঘটনার হার কমেছিল বেশ খানিকটা। লকডাউন চলকালীন রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যাও কম ছিল। পণ্য পরিবহণ এবং জরুরি কয়েকটি পরিষেবা এবং সরকারি গাড়ি ছাড়া বাকি সব যানবাহনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতি অনেকটা স্থিতিশীল হওয়ায় লকডাউনের দরকার নেই বলে মনে করেছে সরকার। ফলে ফের দৌরাত্ম বেড়েছে গণপরিবহণের। তার বলি হচ্ছেন পথচলতি সাধারণ মানুষ।