Job satisfaction

দেশের বিভিন্ন অফিসে ৭০ শতাংশ কর্মীই অসুখী, ৫৪ শতাংশ ইস্তফা দেওয়ার কথা ভাবছেন, কেন?

ঠিক কোন কোন বিষয়ের উপর সন্তুষ্টি নির্ভর করে, কর্মীদের স্বাচ্ছন্দ্য নির্ভর করে, তার কোনও নির্দিষ্ট মানদণ্ড নেই। সমীক্ষা বলছে, একই বয়সের বিভিন্ন কর্মীদের স্বাচ্ছন্দ্য নির্ভর করে আলাদা আলাদা বিষয়ের উপর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:১৯
Share:

ছবি : সংগৃহীত।

ভাবছিলেন, কাজ নিয়ে আপনি একাই অসুখী! কর্মক্ষেত্রে আপনার মতো সমস্যার মুখোমুখি আর কেউ হচ্ছেন না? একটি সমীক্ষা বলছে, ধারণাটি মোটেই ঠিক নয়। আপনার পাশে বসা সহকর্মীও মনে মনে একই কথা ভাবছেন। এমনকি, তিনি মনে মনে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঠিক করে ফেললেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।

Advertisement

কর্মক্ষেত্রে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের খোঁজ নেওয়া এক সংস্থা ‘হ্যাপিয়েস্ট প্লেসেস টু ওয়ার্ক’ সম্প্রতি ভারতীয় কর্মীদের নিয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। সেই সমীক্ষার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন অফিসে কর্মরত ৭০ শতাংশ কর্মীই নিজের পেশা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। আর ৫৪ শতাংশ কর্মীই চাকরি ছাড়ার কথা ভাবছেন।

এই সন্তুষ্টি কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে কর্মীদের স্বাচ্ছন্দ্য নির্ভর করে, তার কোনও নির্দিষ্ট মানদণ্ড নেই। সমীক্ষা বলছে, একই বয়সের বিভিন্ন কর্মীর স্বাচ্ছন্দ্য নির্ভর করে আলাদা আলাদা বিষয়ের উপর। কেউ কর্মসংস্কৃতিকে গুরুত্ব দেন, কেউ কাজের পরিবেশকে, কেউ বা জোর দেন সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করার স্বাচ্ছন্দ্যের উপর।

Advertisement

তবে পুরুষ এবং নারী কর্মীদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে সন্তুষ্টির মধ্যে কিছু সাধারণ প্রবণতাও দেখা গিয়েছে। যেমন, পূর্ব এবং মধ্য ভারতের মহিলা কর্মীদের কর্মসন্তুষ্টির মাত্রা দেশের অন্যান্য অংশের মহিলাদের থেকে বেশি। আবার উত্তর ভারতের পুরুষকর্মীরা দেশের অন্যান্য অংশের পুরুষদের তুলনায় কর্মক্ষেত্রে বেশি সুখী। সাধারণত ব্যাঙ্ক ও আর্থিক সংস্থার দফতরগুলিতেই কর্মীরা বেশি স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করেন। আর কর্মীদের জন্য সবচেয়ে অসন্তুষ্টির কর্মক্ষেত্র নির্মাণশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মস্থল।

যে ৫৪ শতাংশ কর্মী চাকরি ছাড়ার কথা ভাবছেন, সমীক্ষা বলছে, তাঁদের চাকরি ছাড়ার মূল কারণ হল উন্নতির চাহিদাপূরণ না হওয়া বা কর্মক্ষেত্রে যথাযথ সহায়ক ব্যবস্থা না পাওয়া।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement