প্রয়োজনীয় কাজের বাইরে আর কোনও কাজ রাখবেন না।
সব বাড়িতেই সকালটা বেশ তাড়ার মধ্যে দিয়ে কাটে। নিজের অফিসে বেরনো, বাচ্চাদের তৈরি করে স্কুলে পাঠানো, ঘরের খুচখাচ কাজ, সব কিছু সামলে উঠে সময় মতো অফিস পৌঁছতে বেশ ঝক্কি পোহাতে হয়। এত কিছু মাথায় রাখতে গিয়ে বেশ স্ট্রেসও হয়। ফলে প্রায়শই দেরি হয়ে যাওয়া বা জরুরি জিনিস বাড়িতে ফেলে আসার মতো ঘটনা ঘটে থাকে। কয়েকটা দিন খেয়াল রাখলেই কিন্তু সকালে উঠে এই স্ট্রেস কাটাতে পারবেন।
বেডটাইম রুটিন
সকালে উঠে স্ট্রেসমুক্ত ভাবে দিন শুরু করার এটা প্রথম ধাপ। রাতে শুতে যাওয়ার নির্দিষ্ট সময় ঠিক করুন। রাতে ঘুম যাতে ভাল হয় তার জন্য কোনও বিশেষ নিয়ম মেনে চলুন। এতে সকালে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠতে পারবেন। ঘুম থেকে ওঠার সময় ঠিক থাকলে বাকি সব কিছুও আপনা থেকেই সময় অনুযায়ী করতে পারবেন।
রাতে গুছিয়ে রাখুন
আগের দিন রাতেই সব কিছু গুছিয়ে হাতের কাছে রাখুন। নিজের অফিসের ব্যাগ, বাচ্চাদের স্কুল ব্যাগ, সকালে উঠে পড়ার জামা-কাপড়, স্কুল ইউনিফর্ম সব রেডি করে রাখলে সকালে উঠে অনেক সুষ্ঠ ভাবে তৈরি হতে পারবেন।
কাজের গুরুত্ব
অনেকেই সকালে উঠে করার জন্য একগাদা কাজ রেখে দেন। ফলে সকাল বেলা বেরনোর তাড়ায় কোন কাজটা আগে করবেন, কী ভাবে সামলাবেন বুঝে উঠতে পারেন না। ফলে রোজই দেরি হয়ে যায়। সকালে উঠে প্রয়োজনীয় কাজের বাইরে আর কোনও কাজ রাখবেন না। যেমন দাঁত ব্রাশ করা, স্নান করা, ব্রেকফাস্ট। এর বাইরেও যদি আরও অনেক কাজ করতে যান তা হলে স্ট্রেস হবেই।
আরও পড়ুন: এক্সারসাইজ করার সময় নেই? রোগা থাকতে স্নান করুন গরম জলে
সব কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় রাখুন
ব্যাগ, লাঞ্চবক্স, জামা-কাপড় সব কিছু রাখার নির্দিষ্ট জায়গা স্থির করুন। সকালে উঠে যাতে খুঁজে পেতে অসুবিধা না হয়, বা খুঁজতে গিয়ে অযথা সময় নষ্ট না হয়। এতে কিন্তু স্ট্রেস বাড়ে। তেমনই একটা নির্দিষ্ট বাস্কেটে ওয়ালেট, গাড়ির চাবি, ফোন রাখলে বেরনোর সময় কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে।
সকলের আগে ঘুম থেকে উঠুন
যদি বাড়ির সবাই ঘুম থেকে ওঠার অন্তত ১৫ মিনিট আগেও উঠতে পারেন তা হলেও দিনটা অনেক ভাল ভাবে শুরু করতে পারবেন। আগে ঘুম থেকে উঠে নিজের জন্য প্রতি দিনের একটা মর্নিং রিচুয়াল ঠিক করে নিন। হয়তো আপনি নিজের জন্য এক কাপ কফি বানিয়ে খেলেন, বা হালকা শরীরচর্চা করলেন। নিজের মতো করে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন।