৩০ বছরে পা বিশ্বের প্রথম লিখিত বার্তা। ছবি সংগৃহীত।
১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর। ইংল্যান্ডের বার্কশায়ারের এক ইঞ্জিনিয়ার লিখলেন ছোট্ট দু’টি শব্দ। সে দিনই ইতিহাসের খাতায় নাম লিখিয়ে ফেলেছিল ওই বার্তা। কারণ সেটিই ছিল প্রযুক্তির ইতিহাসে মোবাইল ফোনে পাঠানো প্রথম ‘টেক্সট মেসেজ’। পরে এর নাম হয় এসএমএস (শর্ট মেসেজ সার্ভিস)। ২০২২ সালের ৩ ডিসেম্বর ৩০ বছর পূর্ণ করল ইতিহাসের সেই দিন।
ভোডাফোনের ইঞ্জিনিয়ার নীল প্যাপোর্থ তাঁর বস রিচার্ড জার্ভিসকে পাঠিয়েছিলেন ওই বার্তা। লিখেছিলেন ‘মেরি ক্রিসমাস’। রিচার্ড সেই সময় বড়দিনের পার্টিতে ব্যস্ত থাকায় নীলের সেই বার্তার উত্তর দিতে পারেননি। পরীক্ষামূলক ভাবে নীল বার্তাটি পাঠিয়েছিলেন রিচার্ডের নতুন ‘অর্বিটেল ৯০১’ মোবাইলে। যার ওজন ছিল দু’কেজিরও বেশি। পরে এক সাক্ষাৎকারে নীল জানিয়েছিলেন, তখনও তিনি বুঝতে পারেননি যে, ভবিষ্যতে এই বার্তা পাঠানোই মোবাইল পরিষেবার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠবে।
১৯৮০ সালে এর চিন্তাভাবনা শুরু হলেও তা প্রয়োগ করতে এক দশকেরও বেশি সময় লেগে যায়। প্রাথমিক ভাবে মোবাইলে সাধারণ বার্তার দৈর্ঘ্য মাত্র ১৬০ অক্ষরের ছিল। সারা বিশ্বে এখন বছরে ১০০ কোটিরও বেশি বার্তা প্রেরণ করা হয়। ২০১০ সালে ‘টেক্সটিং’ শব্দটিকে অভিধানে যোগ করা হয়। এখনও এর প্রচলন থাকলেও হোয়াটস্অ্যাপ বা আইমেসেজ— এই সব অ্যাপগুলি এখন বেশি জনপ্রিয়।