বারাণসীতে নরেন্দ্র মোদীর সভা বাতিলের পিছনে গুজরাত পুলিশের রিপোর্টকেই ঢাল করল নির্বাচন কমিশন।
নিরাপত্তার কারণে নরেন্দ্র মোদীর বারাণসীতে গঙ্গা ঘাটে আরতি, বিশিষ্ট জনেদের সঙ্গে বৈঠক ও বেনিয়াবাগে জনসভা-তিনটিই বাতিল করে দিয়েছিল কমিশন। পরে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পরে মোদীকে আরতি ও বৈঠক করার অনুমতি দেয় তারা। কিন্তু সভার অনুমতি দেয়নি কমিশন। ওই ঘটনায় কমিশনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করারও অভিযোগ এনে সরব বিজেপি নেতৃত্ব। আজ সেই অনুমতি না দেওয়ার পিছনে গুজরাত পুলিশের রিপোর্টকেই হাতিয়ার করলেন নির্বাচন কমিশনার এইচ এস ব্রহ্ম। তিনি বলেন, “গুজরাত পুলিশের একটি দল ওই সভাস্থলের আশপাশ ঘুরে রিপোর্ট দেয়, ওই এলাকায় মোদীর সভা হলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকও ওই একই ধাঁচের রিপোর্ট দেয়। তার পরেই আমরা ওই সভা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিই।”
কমিশন সূত্রের বক্তব্য, ওই সভার আগে গুজরাত পুলিশের একটি দল এলাকার নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে যায়। দলটি গোটা এলাকা ঘুরে রিপোর্টে জানায়, প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে এমন কোনও শীর্ষ স্থানীয় নেতার জন্য বেনিয়াবাগের ওই মাঠটি আদৌও উপযুক্ত নয়। কেননা ওই জায়গাটি ঘনবসতিপূর্ণই শুধু নয়, যাতায়াতের পক্ষেও অপ্রশস্ত। তাই ওই এলাকায় সভা করায় ঝুঁকি রয়েছে। ব্রহ্মের দাবি, “তাই ওই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। কারণ আমাদের উপরে দায়িত্ব রয়েছে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার।” কমিশন আজ ওই যুক্তি দিলেও বিজেপি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, গুজরাত পুলিশ ওই ধরনের কোনও রিপোর্ট দিয়েছে বলে দলের জানা নেই। একই সঙ্গে আজ নাম না করে বারাণসীর জেলাশাসকের ভূমিকার সমালোচনা করেন ব্রহ্ম। তিনি জানান, সভার অনুমতি পাওয়া যাবে কিনা তা জানার অধিকার সকলের রয়েছে। তাই সভার অনুমতি দেওয়া বা বাতিল করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অযথা ঢিলেমি করা উচিত নয়। বরং তা দ্রুত জানিয়ে দেওয়াই উচিত।