মিজোরামে বদলি প্রতিবাদী রাজ্যপাল

নরেন্দ্র মোদী সরকারের সঙ্গে গত কয়েক মাসের বিবাদের পর উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল আজিজ কুরেশিকে বদলি করা হল মিজোরামে। এই রদবদলের জন্য এ বার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে মেঘালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বও সামলাতে হবে। এই বদলের সঙ্গে মোদী সরকারের ছ’মাস পর ফের সামনে চলে এল রাজ্যপাল-বিতর্ক। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইউপিএ আমলে নিযুক্ত রাজ্যপালদের বদলি ও সরানো নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:৪০
Share:

নরেন্দ্র মোদী সরকারের সঙ্গে গত কয়েক মাসের বিবাদের পর উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল আজিজ কুরেশিকে বদলি করা হল মিজোরামে। এই রদবদলের জন্য এ বার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে মেঘালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বও সামলাতে হবে। এই বদলের সঙ্গে মোদী সরকারের ছ’মাস পর ফের সামনে চলে এল রাজ্যপাল-বিতর্ক।

Advertisement

মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইউপিএ আমলে নিযুক্ত রাজ্যপালদের বদলি ও সরানো নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। কয়েক জন রাজ্যপাল অভিযোগ করেন, স্বরাষ্ট্রসচিব অনিল গোস্বামী তাঁদের ফোন করে পদত্যাগ করতে বলেছেন। প্রতিবাদী রাজ্যপালদের মধ্যে অগ্রণী ছিলেন উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল আজিজ কুরেশি। তিনি শুধু প্রকাশ্যেই এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে ক্ষান্ত হননি, কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও করেছিলেন। কপিল সিব্বল, সলমন খুরশিদের মতো কংগ্রেসের আইনজীবী নেতারাও এই মামলাকে সমর্থন করেছিলেন। ২০১২ সালের ১৫ মে উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন কুরেশি। ফলে এখনও তাঁর মেয়াদ শেষ হতে বছর তিনেক বাকি।

মিজোরামে বদলির পরেই সম্প্রতি কয়েক জন রাজ্যপালকে সরতে হয়েছে। এ বার সেই রাজ্যেই পাঠানো হল কুরেশিকে। মিজোরামের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মেঘালয়ের রাজ্যপাল কৃষ্ণকান্ত পলকে পাঠানো হল উত্তরাখণ্ডে। আর তাঁর জায়গায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে এখন মেঘালয়ের অতিরিক্ত ভারও সামলাতে হবে। ইতিমধ্যেই বিহারের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া আছে ত্রিপাঠীর উপরে।

Advertisement

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের মতে, কুরেশিকে বদলি করার জন্য সরকারের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য রয়েছে। তাঁর সাম্প্রতিক কিছু গতিবিধি সাংবিধানিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করছিল। সে কারণেই তাঁকে বদলি করা হল। রাষ্ট্রপতির কাছে সে সব তথ্য পেশ করা হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস বলছে, নিছক রাজনৈতিক কারণেই এই বদলি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব ফোন করে কী করে তাঁকে পদত্যাগ করতে বলেন, তার প্রতিবাদ করে আদালতে গিয়েছিলেন কুরেশি। আজ তারই খেসারত দিতে হল। সরকারের কাছে তাঁকে অপসারণ করার যথাযথ যুক্তি নেই বলেই নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু সরকারের দাবি, কুরেশি রাজ্যপালের মতো সাংবিধানিক পদে বসে নানা ধরনের অসাংবিধানিক কাজকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। যে সময়ে তিনি স্বরাষ্ট্রসচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে তিনি নিজেই পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন। ফলে শীর্ষ আদালতেও তিনি প্রকৃত সত্য জানাননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement