ভুয়ো নিয়োগ ঘিরে উত্তাল যোরহাট, আহত ১

আধা সামরিক বাহিনীতে নিয়োগের ‘ভুয়ো’ বিজ্ঞাপন দেখে যোরহাট স্টেডিয়ামে ভিড় জমিয়েছিলেন কয়েক হাজার তরুণ-যুবক। সেনার তরফে এমন কোনও বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়নি, তা জানার পরে উত্তেজনা ছড়ায়। শুরু হয় হাঙ্গামা। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ চলে বিক্ষোভকারীদের। পরিস্থিতি সামলাতে শূন্যে গুলি চালায় পুলিশ। এক জন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৪ ০৩:০০
Share:

আধা সামরিক বাহিনীতে নিয়োগের ‘ভুয়ো’ বিজ্ঞাপন দেখে যোরহাট স্টেডিয়ামে ভিড় জমিয়েছিলেন কয়েক হাজার তরুণ-যুবক। সেনার তরফে এমন কোনও বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়নি, তা জানার পরে উত্তেজনা ছড়ায়। শুরু হয় হাঙ্গামা। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ চলে বিক্ষোভকারীদের। পরিস্থিতি সামলাতে শূন্যে গুলি চালায় পুলিশ। এক জন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ সকালে ওই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা যোরহাটে।

Advertisement

বিক্ষোভকারীদের দাবি, ঘটনায় প্রায় ৩০ জন জখম হন। জিন্টু শইকিয়া নামে এক যুবকের গুলি লেগেছে। তিনি এখন যোরহাট মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি। ভাঙচুরের অভিযোগে ২৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। স্বেচ্ছাসেবী যে সংগঠন ওই পরীক্ষার বিজ্ঞাপন দিয়েছিল, তার ছ’জন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, কী কারণে এ কাজ করা হয়েছে, তা জানতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ঘটনার সূত্রপাত ২৪ মে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন অসমের কয়েকটি সংবাদপত্রে সরকারি প্রচার বিভাগের নামে একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। তাতে জানানো হয়েছিল, ১ জুন যোরহাট স্টেডিয়ামে আধাসেনায় নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হবে। উজানি ও মধ্য অসমের আগ্রহী যুবকদের সেখানে যেতে বলা হয়। বিজ্ঞাপনটিতে বিভিন্ন পদ এবং প্রাপ্য বেতনের কথাও লেখা ছিল।

Advertisement

চাকরির আশায় গতকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে যুবকরা যোরহাটে পৌঁছতে শুরু করেন। রাতেই স্টেডিয়ামের সামনে লম্বা লাইন পড়ে যায়। আজ সকালে পুলিশ জানায়, প্রশাসনের কাছে স্টেডিয়ামে চাকরির পরীক্ষার কোনও অনুমতিই নেওয়া হয়নি। সেনাবাহিনীও জানিয়ে দেয়, তাঁদেরও কোনও নিয়োগ পরীক্ষা হচ্ছে না। একই কথাজানায় আধাসেনাও।

পুলিশ সূত্রের খবর, ততক্ষণে যোরহাট স্টেডিয়ামে পরীক্ষা প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল। চাকরি প্রার্থী কয়েক জনের আবেদন বাতিল হওয়ার পরই বাকিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। স্টেডিয়ামের সামনে ভাঙচুর শুরু হয়। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে বরুয়া চারিয়ালিতে। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। কয়েকটি গাড়ি, দোকান ভাঙচুর করা হয়। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা চাকরিপ্রার্থীদের উপরে চড়াও হন। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ প্রথমে লাঠি, কাঁদানে গ্যাস চালায়। ছোঁড়া হয় রবার বুলেট। শেষে শূন্যে গুলি চালায় পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement