পটনা বিস্ফোরণের নিশানা মোদীই, দাবি এনআইএ-র

রাঁচির বাস স্ট্যান্ডের কাছে রাস্তার লাগোয়া হোটেলে বসে ঝিমোচ্ছিল দুই যুবক। ঘড়িতে তখন রাত ১টা। হঠাত্‌ তাদের ঘিরে ধরল সাদা পোশাকের পুলিশ। আগন্তুকদের এক জন বললেন, “চল উঠ ব্ল্যাক বিউটি।”

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৪ ০৩:৩১
Share:

রাঁচির বাস স্ট্যান্ডের কাছে রাস্তার লাগোয়া হোটেলে বসে ঝিমোচ্ছিল দুই যুবক। ঘড়িতে তখন রাত ১টা। হঠাত্‌ তাদের ঘিরে ধরল সাদা পোশাকের পুলিশ। আগন্তুকদের এক জন বললেন, “চল উঠ ব্ল্যাক বিউটি।”

Advertisement

গত রাতে রাঁচির খাদগরা এলাকা থেকে পটনায় নরেন্দ্র মোদীর সভাস্থল, বুদ্ধগয়া মহাবিহারে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে জড়িত ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন এবং সিমি-র দুই জঙ্গি নেতাকে এ ভাবেই গ্রেফতার করলেন এনআইএ, রাজ্য পুলিশের অফিসাররা।

আজ নয়াদিল্লিতে এনআইএ-র ডিজি শরদ কুমার সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে দাবি করেন, নরেন্দ্র মোদীই নিশানা ছিলেন। পটনায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনায় ধৃতদের জেরা করে তেমনই সূত্র মিলেছে। তিনি জানান, উত্তরপ্রদেশের আকবরপুর, কানপুর ও দিল্লিতেও মোদীর সভাস্থল ঘুরে দেখেছিল জঙ্গিরা। কিন্তু সে সব জায়গায় তাঁরা পৌঁছতে পারেনি। কিন্তু গত ২৭ অক্টোবর পটনায় মোদীর ‘হুঙ্কার র্যালি’র সভামঞ্চের কাছে বোমা রাখার সুযোগ পায়।

Advertisement

শরদ জানিয়েছেন, গত রাতে রাঁচিতে ধৃত বছর পঁচিশের হায়দর আলি ওরফে ‘ব্ল্যাক বিউটি’ জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের অন্যতম শীর্ষ নেতা। সিমি-র সঙ্গেও তার সম্পর্ক রয়েছে। আইএম নেতা তেহসিন আখতার এবং ওয়াকাস গ্রেফতার হওয়ার পর ওই জঙ্গি সংগঠনের দায়িত্ব ছিল হায়দরের কাঁধেই। প্রশাসনের তরফে তার মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা ঘোষণা করা হয়েছিল। রাঁচির ওই হোটেলে তার সঙ্গে ধরা পড়ে মজিবুল্লাহ আনসারি। ধৃতদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পলামু থেকে নুমান এবং তৌফিক আনসারি নামে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। পটনায় বিস্ফোরণের পরই তারা গা-ঢাকা দিয়েছিল।

এনআইএ জানিয়েছে, পটনা-কাণ্ডের পর প্রথমে রাঁচির ধুরুয়া এলাকার সিঠিও বস্তির কিশোর ইমতিয়াজকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, বিহার, ঝাড়খণ্ডে জাল ছড়াচ্ছে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন। গত নভেম্বরে রাঁচির হিন্দপিড়ির একটি লজ থেকে উদ্ধার হয় বোমার টাইমার, ডিটোনেটর-সহ একাধিক সরঞ্জাম। জানা গিয়েছিল, ওই ঘরে থাকত মুজিবুল্লাহ। পটনায় মোদীর সভাস্থলের নকশা সে-ই তৈরি করেছিল।

ইয়াসিন ভটকল গ্রেফতার হওয়ার পরে তেহসিন আখতার ওরফে মনু ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের প্রধান হয়। তার নির্দেশেই পটনা, বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণ ঘটে। গত মার্চে তেহসিনও ধরা পড়ে।

দিন দু’য়েক আগে তেহসিনের মোবাইল থেকেই রায়পুরে এক জনকে ফোন করা হয়। তেহসিন তাকে জানায়, সে জেল থেকে পালিয়েছে। হায়দর, তৌফিক, মুজিবুল্লাহ, নুমানকে ওই খবর পাঠাতে হবে। সবাইকে সে রাঁচিতে ডেকে পাঠায়। গত কাল দিল্লি থেকে তেহসিনকে নিয়ে রাঁচি পৌঁছয় এনআইএ। অন্য দল যায় পলামুতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement