বিধানসভার আস্থা ভোটে একশোয় ১১০ পেয়ে পাস করলেন নীতীশ কুমার!
বিধায়ক পদ বাঁচাতে বিদ্রোহ ছেড়ে জেডিইউয়ের ‘হুইপ’ মানলেন জিতনরাম মাঁঝি গোষ্ঠীর নেতারাও। সরকার বাঁচাতে প্রয়োজন ছিল ১১৭ জন বিধায়কের সমর্থন। আজ ১৪০ জনের সমর্থন পেয়ে সহজেই সেই অঙ্ক মেলালেন নীতীশ। তবে নিজের যুক্তি সাজিয়ে এ দিন বিধানসভায় হাজির হননি জিতনরাম।
সদ্য ক্ষমতা হারানো ‘মুষহার’ মুখ্যমন্ত্রীর অনুগামীরা আস্থা ভোটে কী করবেন, তা জানতে উৎসুক ছিলেন রাজ্যবাসী। বিধানসভায় নীতীশের পক্ষে ভোট দিতে হুইপ জারি করেছিল জেডিইউ। না মানলে শাস্তির আশঙ্কা ছিল। বিরোধিতার পথে এগোননি জিতনরাম গোষ্ঠী। জেডিইউয়ের অন্য বিধায়কদের সঙ্গে এ দিন তাঁদের ট্রেজারি বেঞ্চেই বসতে দেখা যায়। নীতীশের সমর্থনেই ভোট দেন সকলে।
বিধায়ক পদ বাঁচাতেই কি বিদ্রোহ ভুললেন?
মাঁঝি শিবিরের বৃশেন পটেল বলেন, “আমরা এখনও জেডিইউ সদস্য। আলাদা দলে নেই। তাই আস্থা ভোটের পক্ষেই সমর্থন দিয়েছি।”
নির্দল বিধায়ক বিনয় বিহারীর বক্তব্য, “কারও পক্ষে বা বিপক্ষে ভোট দিইনি। আমরা নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে আন্দোলন জারি রাখব।” বিধানসভায় অবশ্য যাননি জিতনরাম। ভোটাভুটির কিছু ক্ষণ আগে ১ নম্বর অ্যানে মার্গের বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “দল থেকে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমি এখন দলহীন। কী হিসেবে বিধানসভায় যাব। আমার উপর দলের হুইপ কার্যকর হবে না।” তিনি জানান, সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছেন। তাঁরাই ওই পরামর্শ দিয়েছেন। জিতনরামের দাবি, “দলের মুখ্য সচেতকের চিঠি পেয়ে বিধানসভার সচিবকে এ কথা জানিয়েছিলাম। কিন্তু উত্তর পাইনি।” জেডিইউয়ের মুখ্য সচেতক শ্রবণ কুমার বলেছেন, “দলের হুইপ সকলের জন্য প্রযোজ্য। জিতনরাম মাঁঝি দলের প্রতীকেই ভোট জিতেছিলেন।”
আস্থা ভোট নিয়ে বিতর্কের সময় নীতীশ বলেন, “মাঁঝিজি যা করছিলেন, তাতে রাজ্যের ক্ষতি হচ্ছিল। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।” আরজেডি,কংগ্রেস এবং সিপিআইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা চারটি দল এক দিকে, অন্য দিকে বিজেপি। আমার ও শরিক দলের সদস্যরা বিরোধী শিবিরের সব কৌশল ব্যর্থ করেছেন।”