দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-টেক পড়ুয়াদের বিক্ষোভ। ছবি: পি টি আই।
তিন বছরের স্নাতক পাঠ্যক্রম পুনর্বহাল হতেই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। চলতি শিক্ষাবর্ষে ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠ্যক্রমে কোনও ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হবে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যে পড়ুয়ারা গত বছর ওই পাঠ্যক্রমে ভর্তি হয়েছিলেন তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
সপ্তাহখানেক টালবাহানা চলার পরে গত কাল চার বছরের পাঠ্যক্রম বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। ফিরিয়ে আনা হয় তিন বছরের স্নাতক পাঠ্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-র নির্দেশ মেনে কলেজগুলি মঙ্গলবার থেকেই এ বছরের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে।
ইঞ্জিনিয়ারিং ও ব্যাচেলর অন ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স (বিএমএস) পাঠ্যক্রম বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফলে চলতি বছর থেকে ওই পাঠ্যক্রমগুলিতে কোনও পড়ুয়া ভর্তি করতে পারবে না কলেজগুলি। ইতিমধ্যেই ওই পাঠ্যক্রমে যাঁরা ভর্তি হতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন তাঁদের আবেদনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। তবে মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে ওই ছাত্র-ছাত্রীদের অন্য পাঠ্যক্রমে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু যাঁরা ওই পাঠ্যক্রমে এক বছর ক্লাস করে ফেলেছেন তাঁদের কি হবে? বিষয়টি নিয়ে আজ দিনভর বৈঠক করেন ইউজিসি ও বিভিন্ন কলেজের প্রতিনিধিরা। যদিও রাত পর্যন্ত কোনও সমাধান সূত্র দিতে পারেনি কোনও পক্ষই।
আজ চার বছরের পাঠ্যক্রম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পথে নামেন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ারা। ‘দিল্লি ইউনিভার্সিটি টিচার অ্যাসোসিয়েশন’ বা ডুটার প্রাক্তন সভাপতি আদিত্যনারায়ণ মিশ্রও সেই বিক্ষোভে সামিল হন। মিশ্র দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীনেশ সিংহের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। আজ তিনি ফের রাজনৈতিক চাপের অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁর কথায়, “পাঠ্যক্রম বদলের সিদ্ধান্ত আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের উপরে কেন্দ্রীয় সরকারি হস্তক্ষেপ।” মিশ্রের আশঙ্কা, আগামী দিনে দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও এ ভাবেই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের শিকার হবে।