যাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, তাদের দিক থেকেই এল প্রশংসা! সংসদে এমনই কৃতিত্ব হাসিল করলেন সিপিএমের নবীন সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষায় কেন্দ্রীয় সরকারের গৈরিকীকরণের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে বুধবার রাজ্যসভায় সরব হয়েছিলেন ঋতব্রত। দিনের শেষে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি প্রশংসায় মুখর হলেন তরুণ সাংসদের বক্তৃতার।
পরিকল্পনা ও স্থাপত্য বিলের উপরে এ দিন রাজ্যসভায় বক্তা ছিলেন সিপিএম সাংসদ। স্থাপত্যের সঙ্গে ইতিহাসের অঙ্গাঙ্গী সম্পর্ক টেনে এনে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন, ভারতের সংস্কৃতি চিরকালই বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের। নানা ধারাকে এ দেশ আত্তীকরণ করেছে, বৈষম্য তৈরি করেনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ভারততীর্থ’ যে মনোভাবকে সার্থক ভাবে চিত্রিত করেছে। অথচ এখন কেন্দ্রীয় সরকারের নানা উদ্যোগে ঠিক তার উল্টো প্রয়াস চোখে পড়ছে! পরে বলতে উঠে মন্ত্রী স্মৃতি বলেন, “আমার সতীর্থ ঋতব্রত সাংস্কৃতিক আত্তীকরণ এবং সহিষ্ণুতার কথা বলেছেন। ইতিহাস, সংস্কৃতি, প্রাচীন স্থাপত্যের নিদর্শন থেকে গণিত, কোয়ান্টাম ফিজিক্স সব কিছুর মধ্যে দিয়ে যাত্রা করেছেন। উত্থাপন করেছেন রবীন্দ্রনাথকেও। তাঁর এই বক্তব্যের জন্য তাঁকে সাধুবাদ জানাই।”
দলের মধ্যে বিরোধিতা উপেক্ষা করেই ঋতব্রতকে সংসদে পাঠিয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সীতারাম ইয়েচুরিরা। দলের সাংসদ সংখ্যা কমে যাওয়ায় সীমিত সুযোগের মধ্যেও ঋতব্রতের চেষ্টা খুশি করেছে বুদ্ধবাবু-ইয়েচুরিদের।