গড়চিরোলীতে মাওবাদী হানায় নিহত ৭ পুলিশ

ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ়ের পরে এ বার মহারাষ্ট্র। দেশের শেষ দফা নির্বাচনের ঠিক এক দিন আগে বড়সড় হামলা চালাল মাওবাদীরা। গড়চিরোলী জেলায় আজ ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে সাত জন পুলিশকর্মীর। আহত দুই। পুলিশ জানিয়েছে, আজ সকাল ন’টা চল্লিশ মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। গড়চিরোলী জেলার চামোরসী তালুকের একটি জঙ্গলে অভিযানে যাচ্ছিল মাওবাদী দমনে বিশেষজ্ঞ ‘সি-৬০’-র বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা। মোট চারটি গাড়ির কনভয় নিয়ে যাচ্ছিল দলটি। মুরমুরি গ্রামের কাছে তালোধি-ইয়েদানুর রাস্তার মাঝে একটি সেতুতে ল্যান্ডমাইনটি পোঁতা ছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নাগপুর শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৪ ০৩:৩০
Share:

বিস্ফোরণে দুমড়ে যাওয়া গাড়ি। গড়চিরোলীতে। ছবি: পি টি আই।

ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ়ের পরে এ বার মহারাষ্ট্র। দেশের শেষ দফা নির্বাচনের ঠিক এক দিন আগে বড়সড় হামলা চালাল মাওবাদীরা। গড়চিরোলী জেলায় আজ ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে সাত জন পুলিশকর্মীর। আহত দুই।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, আজ সকাল ন’টা চল্লিশ মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। গড়চিরোলী জেলার চামোরসী তালুকের একটি জঙ্গলে অভিযানে যাচ্ছিল মাওবাদী দমনে বিশেষজ্ঞ ‘সি-৬০’-র বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা। মোট চারটি গাড়ির কনভয় নিয়ে যাচ্ছিল দলটি। মুরমুরি গ্রামের কাছে তালোধি-ইয়েদানুর রাস্তার মাঝে একটি সেতুতে ল্যান্ডমাইনটি পোঁতা ছিল। হঠাৎই সেটি ফেটে যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় কনভয়ের তৃতীয় গাড়িটি পুরো দু’টুকরো হয়ে উড়ে যায়। পুলিশের বাকি দলটি সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করে। দীর্ঘ ক্ষণ মাওবাদীদের সঙ্গে তাদের বাহিনীর গুলির লড়াই চলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এই সংঘর্ষে মাওবাদীরা কেউ হতাহত হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।

বিস্ফোরণে গুরুতর আহত দুই পুলিশকর্মী পঙ্কজ সিধাম ও হেমন্ত বানসুদকে নাগপুরের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। রাতের দিকে নিহত পুলিশকর্মীদের নামের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। তাঁরা হলেন, দীপক ভিগাওয়ে, সুনীল মাডাবি, রোহন দামবাড়ে, সুভাষ কুমড়ে, তিরুপতি আলম, লক্ষ্মণ মুণ্ডে এবং দুর্যোধন নাকতোড়ে।

Advertisement

আজকের বিস্ফোরণের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছেন বিজেপির বিরোধী দলনেতা বিনোদ তাউড়ে। গোটা ঘটনাটিকে গোয়েন্দা দফতরের ব্যর্থতা বলেও দাবি করেছেন তিনি।

ভোট চলাকালীন এর আগেও পুলিশের বাসের উপর হামলা চালিয়েছে মাওবাদীরা। গত ২৪ এপ্রিল ঝাড়খণ্ডের দুমকায় তিন ভোটকর্মী-সহ আট জনের মৃত্যু হয়েছিল। ভোট শুরুর কয়েক দিন আগে মার্চের মাঝামাঝি সময়েও ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদী হামলায় ২০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল।

পুলিশ ও সিআরপিএফ জওয়ানদের গাড়ির উপর একের পর এক হামলার পরে অবশেষে নড়েচড়ে বসেছেন সিআরপিএফ কর্তৃপক্ষ। সংস্থার প্রধান দিলীপ ত্রিবেদী জানিয়েছেন, মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় মাইন-রোধী গাড়ির ব্যবহার সীমিত করতে চলেছেন তাঁরা। অর্থাৎ শুধুমাত্র রুটিন তল্লাশি বা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বাহিনী সরানোর ক্ষেত্রে আর এই ধরনের গাড়ির ব্যবহার তাঁরা করবেন না। কোনও আপৎকালীন অবস্থা বা সংঘর্ষ চলাকালীনই একমাত্র ওই সব গাড়ি ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন ত্রিবেদী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement