অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট তেমন ভাবে খুশি করতে পারেনি স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার ব্যাঙ্কের মাধ্যমে সোনা আমদানির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ অনেকটাই শিথিল করেছে। কিন্তু স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের আশা ছিল, বাজেটে কমানো হবে সোনার আমদানি শুল্ক। কিন্তু তাঁদের সেই আশা পূরণ করেননি জেটলি।
সোনার জোগান বাড়াতে মানুষের কাছে যে সোনা মজুত আছে, তা যাতে ঘরে না-রেখে ব্যাঙ্কে রাখার জন্য তাঁরা উৎসাহ পান, সেই চেষ্টা করা হয়েছে। এক দিকে ব্যাঙ্কে সোনা জমা দিয়ে গোল্ড বন্ড কিনে আমনতকারী যেমন সুদ আয় করতে পারবেন, তেমনই ব্যাঙ্কও ওই সোনা গয়না ব্যবসায়ীদের ঋণ দিয়ে সুদ পাবে।
গোল্ড বন্ড আদতে কী? নতুন ব্যবস্থায় শেয়ারের মতো ডিম্যাট ব্যবস্থায় সোনা রাখা যাবে। অর্থাৎ ব্যাঙ্কে কেউ সোনা জমা দিলে একটি সার্টিফিকেট পাবেন। ওই সার্টিফিকেটই বন্ড। আমানতকারী চাইলেই ওই বন্ড ভাঙিয়ে সোনা ফেরত পেতে পারেন।
পাশাপাশি, এ বার থেকে অশোকচক্রের ছাপ দেওয়া ভারতীয় স্বর্ণমুদ্রা তৈরি করা হবে বলে বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছে। এত দিন সোনার মুদ্রা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হত। এই সব প্রস্তাবে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ী মহল। বাড়িতে রাখা সোনা টাকায় রূপান্তরিত করার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে সেনকো গোল্ডের এগ্জিকিউটভ ডিরেক্টর শুভঙ্কর সেন বলেন, “এই ব্যবস্থায় গয়না ব্যবসায়ীদের পক্ষে সোনার জোগান পাওয়া সহজ হবে।”
তবে সোনা আমদানি কমিয়ে বাণিজ্য ঘাটতি কমালেও স্বর্ণব্যবসায়ীরা এতে তেমন লাভবান হবেন না বলে মন্তব্য করেন জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান পঙ্কজ পরাখ।