তিনি রেলমন্ত্রী। কিন্তু এক টুইটেই তাঁর সাড়া পাওয়া যায়। বিপদের সময় তো বটেই। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় সুরেশ প্রভু ও তাঁর মন্ত্রককে নিয়ে এমনটাই মনে করছেন রাজস্থানের ব্যবসায়ী পঙ্কজ জৈন। তাঁর কথায়, ‘‘রেলমন্ত্রীকে একটা টুইট করার পরেই যে মন্ত্রক এ ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে, স্বপ্নেও ভাবিনি। আমি সত্যিই অভিভূত।’’
রবিবারের ঘটনায় এখনও চটক ভাঙেনি পঙ্কজের। বেঙ্গালুরু থেকে অসুস্থ বাবাকে নিয়ে তিনি উঠেছিলেন যশবন্তপুর-বিকানির এক্সপ্রেসে। নামার কথা ছিল রাজস্থানের মেরটা রোড স্টেশনে। কিন্তু সেই স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ায় মাত্র তিন মিনিট। এর মধ্যে বাক্স-প্যাঁটরা-সহ অসুস্থ বাবাকে নিয়ে প্লাটফর্মে নামার কথা ভাবতেই ঘাম ছুটে যায় তাঁর। সাহায্য চেয়ে ফোন করেন আত্মীয়দের। তাঁদেরই এক জনের পরামর্শে ফোন থেকে টুইট করেন রেল মন্ত্রকের ঠিকানায়। একটা হুইলচেয়ার আর স্টেশনে ১০ মিনিটের ‘স্টপেজ-টাইম’ চেয়ে আর্জি জানান। পলক ফেলার আগে জবাবও আসে। তবু দ্বিধা কাটে না পঙ্কজের। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে রবিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ মেরটা রোড স্টেশনে পৌঁছয় ট্রেন। কপাল ঠুকেই বাবাকে নিয়ে প্ল্যাটফর্মে পা রাখেন পঙ্কজ। নেমেই তাঁর চক্ষু চড়কগাছ। কয়েক জন কুলিকে নিয়ে প্ল্যাটফর্মে হাজির হয়েছেন খোদ স্টেশনমাস্টার। বন্দোবস্ত হয়েছে হুইলচেয়ারেরও। রেল কর্তৃপক্ষের সৌজন্যে বাবা-ছেলে তখনও বিহ্বল। মন্ত্রী প্রভুকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পরে টুইটারে লেখেন পঙ্কজ, স্টেশনে ট্রেন পাক্কা ১০ মিনিট দাঁড়িয়েছিল।