গুজরাত দাঙ্গার সময়ে নরেন্দ্র মোদী ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর চিঠিপত্র প্রকাশ করতে পারে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। তবে তার আগে মোদী ও গুজরাত সরকারের অনুমতি নেবে তারা। তথ্যের অধিকার আইনে একটি আর্জির প্রেক্ষিতে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিএমও।
গুজরাত দাঙ্গার সময়ে সেই রাজ্যে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘রাজধর্ম’ পালনের নির্দেশ দিয়েছিলেন বাজপেয়ী। লোকসভা ভোটের প্রচারে সেই বক্তব্যকে ইতিমধ্যেই ব্যবহার করেছে কংগ্রেস। তাদের দাবি, তখন বাজপেয়ী মোদীর উপরে অনাস্থা প্রকাশ করেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে মোদী ও বাজপেয়ীর চিঠিতে গুজরাত দাঙ্গার নেপথ্যের কোনও কাহিনি থাকলে তা বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর কাছে চরম অস্বস্তির হয়ে উঠতে পারে।
২০১৩-র ডিসেম্বরে কিন্তু ওই সব চিঠি প্রকাশের আর্জি খারিজ করেছিল পিএমও। তখন পিএমও-র মুখ্য তথ্য আধিকারিক এস ই রিজভি জানান, ওই চিঠিপত্র প্রকাশ করলে তদন্তের প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। অপরাধীদের ধরাও কঠিন হবে। গুজরাত দাঙ্গার প্রকৃত অপরাধীদের নিয়ে ওই চিঠিগুলিতে কোনও তথ্য আছে কি না তা নিয়ে তখনই জল্পনা শুরু হয়।
রিজভির বক্তব্যের বিরুদ্ধে পিএমও-র অধিকর্তা কৃষ্ণন কুমারের কাছে আর্জি জানান ওই আরটিআই আবেদনকারী। কুমার জানিয়েছেন, আর্জি খারিজ করার উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারেননি রিজভি। এক দশকেরও বেশি পরে ওই চিঠিপত্রে তদন্তের প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এর পরে রিজভি জানান, আরটিআই আইনের ১১ নং ধারা অনুযায়ী এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট তৃতীয় পক্ষের (মোদী ও গুজরাত সরকার) সম্মতি নেওয়া হবে।
রাজনৈতিক শিবিরের মতে, প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন মিডিয়া উপদেষ্টা সঞ্জয় বারুর বই প্রকাশের পরে বিপাকে পড়েছে কংগ্রেস। রাজনৈতিক শিবিরের মতে, মনমোহন ও নেহরু-গাঁধীদের মধ্যে মতপার্থক্য থাক বা না থাক, বইটি বেশ সুবিধে করে দিয়েছে বিজেপির। তাই এখন মোদীর উপরে পাল্টা চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে পিএমও। বাজপেয়ী ও মোদীর চিঠিপত্র প্রকাশের বিষয়ে সেই সুযোগ পেয়েছেন মনমোহনের দফতরের আমলারা।