যোগী আদিত্যনাথ। —ফাইল চিত্র।
এর আগে খেলেছিলেন ‘হিন্দু নির্যাতনের’ তাস। এ বার খেললেন ‘জাতীয় ঐক্যের’ তাস। বক্তা সেই যোগী আদিত্যনাথ, দৃষ্টান্তও সেই বাংলাদেশ।
সোমবার উত্তরপ্রদেশের আগরায় এক জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী বলেন, ‘‘বাংলাদেশে কী ঘটছে, আপনারা দেখছেন। সেই ভুল এখানে করা উচিত নয়। বাঁটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে, এক রহেঙ্গে তো নেক রহেঙ্গে।’’ অর্থাৎ ‘ভাগাভাগির মধ্যে গেলে ধ্বংস হয়ে যেতে হবে, এক থাকলে ভাল থাকা যাবে।’ কিছু দিন আগে এই যোগীই অযোধ্যায় গিয়ে বলে এসেছিলেন, বাংলাদেশের হিন্দুরা যেহেতু বিপক্ষ শিবিরের ভোট ব্যাঙ্ক নয়, সে কারণে তাঁদের সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে আদৌ ভাবিত নয় বিরোধীরা। বস্তুত গত কালও সে কথা ফের বলেছিলেন তিনি। আজ তাঁর মুখে ‘একতাই বল’।
রাজনৈতিক শিবিরের অনেকের দাবি, যোগী এবং তাঁর দলই বিভাজনকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে সবচেয়ে বেশি। কিন্তু এখন তিনি বিরোধীদের দিকে বিভাজনী তাস খেলার অভিযোগ আনছেন। দৃষ্টান্ত হিসেবে ব্যবহার করছেন বাংলাদেশকে, সেখানকার সংখ্যালঘু প্রসঙ্গকে। অর্থাৎ ঐক্যের কথা বলে ঘুরিয়ে সেই মেরুকরণেই ভরসা রাখছেন। সেই কারণেই বিরোধীদের প্রতি তাঁর আক্রমণ, ‘‘ওঁরা প্যালেস্টাইন নিয়ে চিন্তিত, কিন্তু বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হলে চোখ বুজে থাকেন।’’