Yoga Teacher Buried Alive

যোগশিক্ষিকাকে অপহরণের পর মারধর, মরে গিয়েছেন ভেবে জ্যান্ত পুঁতে দিল দুষ্কৃতীরা! বেঁচে ফিরলেন, কী ভাবে?

ঘটনাটি কর্নাটকের চিক্কাবল্লাপুর জেলার। যোগশিক্ষিকার নাম অর্চনা। তাঁকে খুন করার জন্য চার জনকে ভাড়া করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৫৬
Share:
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

রাস্তা থেকে যোগশিক্ষিকাকে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তার পর তাঁকে মারধর করা হয়। যোগকেই কাজে লাগিয়ে মরার মতো ভান করেন তিনি। মরে গিয়েছেন ভেবে দুষ্কৃতীরা গর্ত খুঁড়ে তার মধ্যে ওই শিক্ষিকাকে ফেলে মাটিচাপা দিয়ে পালিয়ে যান। কিন্তু নিজের যোগ প্রশিক্ষণকে কাজে লাগিয়ে মাটির নীচেও কিছু ক্ষণ থাকার পর তা সরিয়ে উপরে উঠে আসেন। যোগের কৌশলই এ যাত্রায় তাঁর প্রাণ বাঁচিয়ে দিল।

Advertisement

ঘটনাটি কর্নাটকের চিক্কাবল্লাপুর জেলার। যোগশিক্ষিকার নাম অর্চনা। তাঁকে খুন করার জন্য চার জনকে ভাড়া করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, স্বামীর বন্ধু সন্তোষের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহে শিক্ষিকার উপর হামলা চালানো হয়। হামলার অভিযোগ ওঠে সন্তোষের স্ত্রী বিন্দুর বিরুদ্ধে। বিন্দুর সন্দেহ ছিল তাঁর স্বামীর সঙ্গে যোগশিক্ষিকার সম্পর্ক রয়েছে। আর সেই সন্দেহের বশে যোগশিক্ষিকাকে খুন করার পরিকল্পনা করেন বলে অভিযোগ।

পুলিশ জানতে পেরেছে, যোগশিক্ষিকার উপর হামলা চালানোর জন্য সতীশ রেড্ডি নামে এক দুষ্কৃতীকে ভাড়া করেন বিন্দু। যোগ শেখার অছিলায় অর্চনার সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন সতীশ। তাঁর বিশ্বাস অর্জন করেন। আর সেই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন সতীশ। রাস্তা থেকে যোগশিক্ষিকাকে গাড়িতে তুলে নেন সতীশ। তাঁর সঙ্গে আরও তিন জন ছিলেন। সন্দেহ হওয়ায় শিক্ষিকা চিৎকার করতে গেলেই তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তার পর শিক্ষিকাকে একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে আবার মারধর করা হয়। হামলার পর মরার ভান করেন শিক্ষিকা। হামলায় মৃত্যু হয়েছে ভেবেছে সতীশ এবং তাঁর সঙ্গীরা গর্ত খুঁড়ে শিক্ষিকাকে তার মধ্যে ফেলে মাটিচাপা দিয়ে চলে যান। কিন্তু যোগ কৌশলকে কাজে লাগিয়ে বেঁচে ফেরেন শিক্ষিকা। তার পর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে সতীশ, তাঁর তিন সঙ্গী এবং সন্তোষের স্ত্রী বিন্দুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement