DHFL

লকডাউন ভেঙে পরিবার নিয়ে ভ্রমণ করে আটক ডিএইচএফএল শীর্ষকর্তারা

মহারাষ্ট্র সরকারের শীর্ষস্থানীয় আমলার সহায়তার লকডাউন অমান্য করেই পরিবারের লোকজন, কর্মচারীদের নিয়ে খাণ্ডালা থেকে মহাবালেশ্বরে গিয়েছিলেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২০ ১৪:২২
Share:

কপিল ওয়াধবন। ছবি টুইটার থেকে সংগৃহীত।

ঋণের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। সিবিআই লুকআউট নোটিসও জারি করেছিল তাঁদের বিরুদ্ধে। মহারাষ্ট্র সরকারের শীর্ষস্থানীয় আমলার সহায়তার লকডাউন অমান্য করেই পরিবারের লোকজন, কর্মচারীদের নিয়ে খাণ্ডালা থেকে মহাবালেশ্বরে গিয়েছিলেন। এই অপরাধের জন্য বৃহস্পতিবার আটক করা হয়েছে ডিএইচএফএল সংস্থার দুই শীর্ষ কর্তা কপিল ও ধীরাজ ওয়াধবনকে। লকডাউনের সময় তাঁদের পালাতে সাহায্য করার জন্য ওই আমলাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

ওয়াধবন ভাইরা মার্চ থেকে খাণ্ডালার শৈলশহরের একটি গেস্ট হাউস ভাড়া করে থাকছিলেন। সেখান থেকে মহাবালেশ্বরের ফার্মহাউসে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। কিন্তু লকডাউন পরিস্থিতিতে যাওয়ার জন্য মহারাষ্ট্র সরকারের এক আমলার থেকে বিশেষ অনুমতি নেন তাঁরা। পাঁচটি গাড়িতে ২০ জনের বেশি যান মহাবালেশ্বরে।

মহারাষ্ট্র সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি অমিতাভ গুপ্ত তাঁদের যাওয়ার অনুমতি দেন। সেই অনুমতিপত্রে লেখা ছিল, ‘‘ওই ব্যক্তিরা আমার পরিচিত ও পারিবারিক বন্ধু। ফ্যামিলি এমার্জেন্সির কারণে তাঁরা খাণ্ডালা থেকে মহাবালেশ্বরে যাবেন। সেখানে পৌঁছতে তাঁদের সহযোগিতা করার জন্যই এই চিঠি।’’ দেখুন সেই চিঠি—

Advertisement

মহাবালেশ্বরে স্থানীয়দের কাছ থেকে তাঁদের আসার খবর পায় পুলিশ। তার পরই আটক করা হয় তাঁদের। ওয়াধবন ভাইরা যে পরিচারকদের নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। সাতারা এসপি তেজস্বিনী সতপুতে ওয়াধবন পরিবারের সদস্যদের মহাবালেশ্বর থেকে আটকের কথা স্বীকার করেছেন। পঞ্চগনির একটি সরকারি হাসপাতালে কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে তাঁদের। কোয়রান্টিন শেষ হলে তাঁদেরকে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে সিবিআই। ইয়েস ব্যাঙ্ক ও ডিএইচএফএল ঋণখেলাপিতে কোটি কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: দেশে আক্রান্ত প্রায় সাড়ে ৬ হাজার, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত আরও ৩৩

এই ঘটনা সামনে আসতেই শিবসেনা-এনসিপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে সেখানকার বিরোধী দল বিজেপি। মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের পদত্যাগ দাবি করেছেন তাঁরা। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস টুইট করেছেন, ‘‘মহারাষ্ট্রে ধনীদের জন্য লকডাউন নয়?’’ এই ঘটনার পর সেখানকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ বলেছেন, ‘‘ওয়াধবন পরিবারের ২৩ জন সদস্য কী করে খাণ্ডালা থেকে মহাবালেশ্বর যাওয়ার অনুমতি পেলেন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’

আরও পড়ুন: ১৪০০ কিমি স্কুটি চালিয়ে অন্ধ্রে আটকে পড়া ছেলেকে ফেরালেন তেলঙ্গানার মহিলা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement