সেই যুবকের সঙ্গে প্রীতি কুশওয়াহা। ছবি: সংগৃহীত।
মায়ের জন্য রুটি তৈরি করেছিলেন প্রীতি কুশওয়াহা। ফোন করে সে কথা জানিয়েছিলেন নিজেই। মেয়ের সঙ্গে আর কখনও যে কথা হবে না, তখনও জানতেন না মা। গত রবিবার সন্ধ্যায় যখন দিল্লির বাড়ি ফিরেছিলেন মহিলা, তখন দেখেন সিলিংফ্যান থেকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন ১৮ বছরের প্রীতি। সে সময় বাড়ি ছিলেন না প্রীতির দাদা এবং দিদি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আত্মহত্যার আগে দোকান থেকে পিৎজ়া এবং নরম পানীয় অর্ডার করেছিলেন তরুণী। তার পরে কেন এই পদক্ষেপ করলেন তিনি, উঠছে প্রশ্ন। দিল্লির কুশওয়াহা পরিবার আঙুল তুলেছে প্রীতির তুতো দাদার দিকে। তাঁদের দাবি, ওই তুতো দাদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল প্রীতির। তার জেরেই এই পদক্ষেপ করেছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লির একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন প্রীতি। দু’বছর আগে সকলের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই পরিচয় হয় সেই তুতো দাদার সঙ্গে। তাঁদের যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, সে বিষয়ে পরিবারের লোকজন কিছু জানতেন না বলে খবর। প্রীতির মৃত্যুর পরে তাঁর বন্ধুরা বিষয়টি প্রকাশ করেছেন। বেশ কিছু ছবি এবং স্ক্রিনশটও পুলিশকে দিয়েছেন তাঁরা। তাতে দেখা গিয়েছে, প্রীতির সিথিতে সিঁদুর পরাচ্ছেন সেই যুবক (আনন্দবাজার ডট কম এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি)। প্রীতির মোবাইল থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের একটি চ্যাট উদ্ধার করা হয়েছে। যুবকের সঙ্গে সেই চ্যাটে প্রীতি তাঁকে ‘স্বামী’ বলে উল্লেখ করেছিলেন।
সম্প্রতি প্রীতি মাথার চুল কামিয়ে ফেলেছিলেন। পরিবার এই নিয়ে বাধা দিলেও তিনি শোনেননি বলে অভিযোগ। প্রীতির বন্ধুদের দাবি, ওই যুবক প্রীতিকে জানিয়েছিলেন, তিনি খুব সুন্দর। যে কারও তাঁকে পছন্দ হয়ে যেতে পারে। যুবক বলেছিলেন, ‘‘তখন আমি কী করব?’’ এর পরেই প্রীতি নিজের মাথার চুল কামিয়ে ফেলেছিলেন। অভিযোগ, সম্প্রতি ওই যুবক যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন প্রীতির সঙ্গে। তাঁর মোবাইল নম্বর ব্লক করে দিয়েছিলেন। তার পরেই অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তরুণী। সেই নিয়ে সমাজমাধ্যমে একাধিক পোস্টও করেন। তার পরেই চরম পদক্ষেপ করেন বলে অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগ, এই বিষয়ে পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।