‘মহিলা অধিকার সম্মেলন’-এ সুস্মিতা দেবের সঙ্গে রাহুল গাঁধী। ছবি: পিটিআই।
মহিলাদের মধ্যে নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তার কথা আগে তুলে ধরত বিজেপি। দেশের অর্ধেক ভোটব্যাঙ্কে এ বারে রাহুল গাঁধীর গ্রহণযোগ্যতা বাড়তেই কপালে ভাঁজ মোদীর দলের।
আজ দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে মহিলা কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে রাহুলকে ঘিরে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। সুস্মিতা দেব, শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে আয়োজিত সম্মেলনে রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী করার পণ করেন নেত্রীরা। ভবিষ্যতে মহিলাদের জন্য কংগ্রেসের ৫০ শতাংশ পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে রাহুলও তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ করেন আরএসএস-মোদীকে। মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করানোর দাবিতে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন প্রধানমন্ত্রীকে।
সঙ্ঘকে নিশানা করে রাহুল বলেন, ‘‘বিজেপির ‘রিমোট কন্ট্রোল’ আরএসএসে মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। কোনও দিনই ঠাঁই হবে না। আর মোদী জমানায় দেশে মহিলাদের নিরাপত্তাও শিকেয় উঠেছে। বিহার-উত্তরপ্রদেশে একের পর এক ধর্ষণ হচ্ছে, অথচ প্রধানমন্ত্রী চুপ।’’ এই মঞ্চেই রাহুল মহিলা কংগ্রেসের একটি পৃথক পতাকা, লোগো ও থিম-সং চালু করেন। মহিলাদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আপনাদের অধিকার কংগ্রেস সভাপতির লড়াই। কংগ্রেসে পুরুষ ও মহিলাদের সমান ক্ষমতা থাকলেও মহিলাদেরই প্রাধান্য দেওয়া হবে।’’ মহিলাদের নিয়ে ভোটের ঘুঁটি সাজানো মোদী-অমিত শাহের পুরনো কৌশল। সম্প্রতি বুথে বুথে মহিলা-বাহিনী তৈরিরও নির্দেশ দিয়েছেন অমিত। এ বার রাহুলও বুথে বুথে মহিলা-বাহিনী গড়ছেন।
রাহুলের অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, ‘‘ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী, লোকসভার স্পিকার মহিলা। এঁরা বিজেপি ও আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত বলেই এঁদের অসম্মান করা হবে?’’ আর এক মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের মন্তব্য, ‘‘বিজেপিতেই সব থেকে বেশি মহিলা সাংসদ ও বিধায়ক। কী করে রাহুল গাঁধী এমন অভিযোগ করছেন?’’