প্রতীকী ছবি।
যে আবাসনের ঘেরাটোপে তাঁরা নিরাপদ বোধ করেন, সেখানেই গত সাত মাস ধরে ১১ বছরের এক বধির বালিকাকে ধর্ষণ করে গিয়েছে আবাসনের কর্মীরা। চেন্নাইয়ের ওই ঘটনায় মঙ্গলবার লিফটম্যান, কলের মিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রি, নিরাপত্তারক্ষী-সহ মোট ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু বাসিন্দাদের ভয় কাটছে না। আপাতত পাহারার দায়িত্বে রয়েছেন আবাসনের বাসিন্দা আট মহিলার একটি দল। তাঁরাই চার দিকে নজর রাখছেন। নিরাপত্তার দায়িত্ব নতুন কোনও সংস্থাকে দেওয়া হবে কি না এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়নি।
পাশাপাশি, মাদ্রাজ হাইকোর্টে এক শিশুকল্যাণ কর্মী আবেদন জানিয়েছিলেন, মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত ওই বালিকার কাউন্সেলিং প্রয়োজন। বুধবার নির্যাতিতাকে রাজ্যের শিশু উন্নয়ন কমিটির হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার কাউন্সেলিং শুরু করাতে বলেছে কোর্ট। ফলে এখন থেকে মেয়েটি আদৌ পরিবারের কাছে থাকতে পারবে কি না, সে নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই আবাসনের বহু জায়গায় সিসিটিভি ঠিক মতো কাজ করত না। সেই সুযোগটাই নিয়েছে অভিযুক্তেরা। আবাসনের সর্বত্র সিসিটিভি লাগিয়ে এ বার নজরদারি বাড়াতে চান বাসিন্দারা।
সাত মাস ধরে বালিকাকে মাদক মেশানো পানীয় খাইয়ে বেসমেন্ট, ছাদ, জিম-সহ বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণ করত অভিযুক্তেরা। ধর্ষণের ভিডিয়ো তুলে তাকে ভয় দেখানো হত। মেয়েটি প্রথমে চুপ থাকলেও, সম্প্রতি দিদির কাছে বিষয়টি জানায়। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান বালিকার বাবা-মা।
আবাসনের বাসিন্দা এক মহিলা বুধবার বলেন, ‘‘নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এত দিন যাদের নির্ভয়ে বাড়িতে ঢুকতে দিয়েছি, যাওয়া-আসার পথে দেখা হলে যারা হেসে কথা বলত তারাই এমন কাজ করেছে, ভেবে অবাক হচ্ছি। সুইমিং পুল বা জিমে একা যাওয়ার সাহস পাচ্ছি না।’’